শ্রীনগর: দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে এনকাউন্টারে খতম চার সন্ত্রাসবাদী। জনৈক সেনা অফিসার জানান, শনিবার সকালে পুলওয়ামার হানজান এলাকায় সূত্র মারফত পাওয়া কয়েকজন জঙ্গির গা ঢাকা দিয়ে থাকার সুনির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে সেখানে নিরাপত্তাবাহিনী তল্লাসি অভিযানে নামে। তাদের টার্গেট করে জঙ্গিরা গুলি চালালে জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনীও। গুলির লড়াইয়ে চার জঙ্গি নিহত হয়। সংঘর্ষস্থল থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক লড়াইয়ে ব্যবহারের নানা সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বলে জানান তিনি, বলেন, যদিও নিহত সন্ত্রাসবাদীদের পরিচয় ও তারা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য, তা এখনও জানা যায়নি। অবশ্য একটি সূত্রে তারা জয়েশ-ই-মহম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য বলে দাবি করা হয়েছে। আর কোনও জঙ্গি আশপাশে লুকিয়ে আছে কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে তল্লাসি বহাল রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে জম্মু্র মূল বাসস্ট্যান্ডে কম তীব্রতার বিস্ফোরণ হয়েছে গতকাল গভীর রাতে। পুলিশের সন্দেহ, বাসস্ট্যান্ডের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা থানা ভবনই নাশকতার টার্গেট ছিল। প্রাথমিক তদন্তের সূত্র উল্লেখ করে প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, কোনও চলন্ত গাড়ি থেকে গ্রেনেড ছোঁড়া হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গ্রেনেডটি থানার কিছুটা দূরে পড়ে ফেটে যায়। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণহানি হয়নি। গত সাত মাসে এই নিয়ে দুবার জম্মু বাসস্ট্যান্ডে বিস্ফোরণ হল। গত ২৪ মে বিসি রোডের ধারে নির্মীয়মাণ বাসস্ট্যান্ডে গ্রেনেড হামলায় দুজন পুলিশকর্মী ও এক সাধারণ নাগরিক জখম হয়েছিলেন।
পাশাপাশি সেনাবাহিনীর দাবি, জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধার করে বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলা রুখে দিয়েছে তারা। শনিবার ভোরে বিলাওয়ার ব্লকে সেনা ও স্থানীয় পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে দুটি একে অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি হাত গ্রেনেড, ২৫৬ রাউন্ড সহ চারটি ম্যাগাজিন, ৫৯ রাউন্ড স্নাইপার বাজেয়াপ্ত করেছে। জনৈক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র জানান, পরে ব্যবহারের জন্য পলিথিনের ব্যাগে মুড়ে স্থানীয় একটি গ্রামের নির্জন জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছিল ওই অস্ত্রশস্ত্র। সামরিক গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী অভিযান চালিয়ে সেগুলি উদ্ধার করেছে এবং এর ফলে বড় সন্ত্রাসবাদী হামলার সম্ভাবনা বিনাশ করা গিয়েছে।