করোনা সংক্রান্ত সচেতনতা প্রচার থেকে শুরু করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোভিড আক্রান্তদের খোঁজখবর, সবই করেছেন আশাকর্মীরা। কিন্তু ন্যূনতম সুরক্ষা বর্ম পর্যন্ত তাঁরা পান না। প্রয়োজনীয় সুরক্ষার অভাবে কয়েকজন আশা কর্মী করোনায় প্রাণও হারিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে আশা কর্মীরা মাসে ১ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। রাজ্য সরকারগুলিও সমপরিমাণ বেতন দেয়। বহুদিন ধরেই আশাকর্মীরা বেতন বৃদ্ধির দাবি জানালেও কোনও সরকারই তাতে এখনও পর্যন্ত কর্ণপাত করেনি।
দাবিদাওয়া পূরণ না-হওয়ায় এবার সরাসরি আন্দোলনের পথে আশা কর্মীরা। কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির অনুমোদিত আশা কর্মীদের সংগঠনগুলি গতকাল ও আজ ধর্মঘট করছে। শ্রমিক সংগঠনগুলি এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, " অঙ্গনওয়াড়ি, আশা, মিড-ডে মিল, সমগ্র শিক্ষা-সহ সমস্ত স্তরের কর্মীদের দাবিপূরণের জন্য অগস্টের ৭ ও ৮ তারিখ ধর্মঘট। আশা কর্মীদের দাবি, লকডাউন পর্বে তো বটেই, করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজের কোনও মূল্য সরকার দিচ্ছে না। ন্যূনতম সুরক্ষা, বিমা এবং ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার জন্য ভাতা প্রদানের দাবি তুলেছেন এই সব কর্মীরা।"
দেশজুড়ে করোনা হু হু করে বাড়ছে। আমেরিকা ও ব্রাজিলকে ছাপিয়ে একদিনে রেকর্ড সংক্রমণ ভারত। এমতাবস্থায় আশা কর্মীদের আন্দোলন পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে কঠিন করে তুলবে। সরকার সেদিকে নজর দিক,চাইছেন আক্রান্তদের পরিবার।