এই আমন্ত্রণ পেয়ে উচ্ছ্বসিত আবীর। সে জানিয়েছে, ‘আমি জন্মদিনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমার এবারের জন্মদিনই সেরা হতে চলেছে। আমি দিল্লি বিমানবন্দরের প্রতিটি কোণ ঘুরে দেখব।’
বিমানবন্দরের রেপ্লিকা তৈরি প্রসঙ্গে আবীর জানিয়েছে, ‘আমি একবার বাবা-মার সঙ্গে বিমানে মুম্বই যাচ্ছিলাম। তখন পাইলটকে কেবিনে যেতে দেখি। খুব কাছ থেকে ককপিটও দেখতে পাই। সেসব দেখে আমার খুব আনন্দ হয়েছিল। এরপর থেকেই ছোট ছোট বিমান জমানো শুরু করি। দিল্লি বিমানবন্দরের রেপ্লিকা তৈরি করার জন্য গুগল ম্যাপের সাহায্য নিই। এছাড়া আমার কাছে এয়ারবাস ও বোয়িং বিমানগুলির মডেল ছিল। রেপ্লিকা তৈরি করতে আমার ২১ ঘণ্টা সময় লেগেছে।’
আবীরের বাবা অনুরাগ জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলের কাছে ১৫০-২০০ বিমানের ক্ষুদ্র সংস্করণ আছে। ব্যবসার জন্য আমাকে প্রায়ই বিভিন্ন দেশে যেতে হয়। যখন যেখানে যাই, সেখান থেকে ছেলের জন্য ছোট বিমান নিয়ে আসি। বিমান ছাড়া ও আর কিছু চায় না। রেপ্লিকা ও নিজেই তৈরি করেছে।’
আবীরের মা শ্বেতা জানিয়েছেন, ‘ছেলের জন্য আমি গর্বিত। ওর স্কুলের সব শিক্ষকই আমাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন।’