নয়াদিল্লি: উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে বিষমদ পান করে মৃতের সংখ্যা ৯০ ছাড়াল। উত্তর প্রদেশের সহারানপুরে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কুশীনগরে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৩। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন শহরে বিষমদের কারবারীদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত ২০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের দাবি, এ মাসের সাত তারিখ উত্তরাখণ্ডের রুরকির বালুপুরে একটি শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিষমদ পান করেন মৃত ও অসুস্থরা। তবে সহারানপুরের বাসিন্দাদের দাবি, মৃত ও অসুস্থ ব্যক্তিরা তাঁদের গ্রামেই বিষমদ পান করেন। এরপর থেকেই তাঁদের শরীর খারাপ হতে থাকে। পিন্টু নামে এক বিষমদ বিক্রেতার বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ থাকলেও, পুলিশ টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সাত তারিখ কোনও শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান ছিল না বলেও দাবি তাঁদের।

পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে ২১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২৯৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উত্তরাখণ্ডে ৪৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশ সরকার। পুলিশ ও আবগারি দফতরের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। উত্তর প্রদেশে ৯,২৬৯ লিটার এবং উত্তরাখণ্ডে ১,০৬৬ লিটার বিষমদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিষমদ তৈরির উপকরণও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তদন্তে সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিষমদের কারণেই মৃত্যু না অন্য কারও চক্রান্ত, সেটাও তদন্ত করা হচ্ছে। এর আগেও এই ধরনের ঘটনায় সমাজবাদী পার্টির নেতারা গ্রেফতার হয়েছেন।’

পাল্টা সমাজবাদী পার্টি প্রধান অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘বিরোধীরা সরকারকে এই ধরনের ঘটনার বিষয়ে অবহিত করছিল। কিন্তু সরকারের টনক নড়েনি। কারণ, এর সঙ্গে সরকারও যুক্ত। সরকারের মদত ছাড়া এই ধরনের কারবার চালানো যায় না। যোগী সরকারের স্বীকার করা উচিত, তারা রাজ্য চালাতে পারছে না।’