কলকাতা ও নয়াদিল্লি: চিন সহ কয়েকটি দেশে ছড়াচ্ছে নোভেল করোনা ভাইরাস।  প্রাণিবাহিত এই ভাইরাসের সংক্রমণে কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। দেশে তো বটেই, কলকাতাতেও অনেকে হংকং সহ চিনের বিভিন্ন শহর থেকে আসেন। তাই সতর্ক রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। তৈরি রাখা হয়েছে তিনটি আইসোলেশন ওয়ার্ড। পাঠানো হয়েছে একজন ফুসফুস বিশেষজ্ঞকে।
এই ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্ক কেন্দ্রীয় সরকারও। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে দাবি, ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত কলকাতা, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, কোচিন, দিল্লি ও মুম্বই বিমানবন্দরে ৪৩টি উড়ানের ৯,১৫৬ জন যাত্রীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। কারও নোভেল করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। তবে তা সত্ত্বেও চিন থেকে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া হবে। এ বিষয়ে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'বিমানবন্দরে অভিবাসনের জায়গায় থার্মাল ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। বিমান সংস্থাগুলির কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অভিবাসীদের পরীক্ষা করার আগে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে আসতে হবে। সাতটি বিমানবন্দরে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। চিন থেকে আসা কোনও যাত্রী ১৪ দিনের মধ্যে উহান শহরে গিয়েছেন কি না, সম্প্রতি তাঁদের জ্বর বা সর্দি-কাশি হয়েছে কি না, সেটা জানানোর অনুরোধ করে ঘোষণা হচ্ছে উড়ানেই। বিমানবন্দরে নামার পরেও সে কথা জানাতে পারবেন যাত্রীরা। এই ধরনের যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে।'


স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে ভারত থেকে যাঁরা চিনে যাচ্ছেন তাঁদের সতর্ক করে বার্তায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য সচেতন থাকতে হবে। ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। হাঁচি, কাশি হলে মুখ ঢাকতে হবে। চিনে কারও কাশি, সর্দি হলে তাঁর সংস্পর্শে যাওয়া যাবে না। চিনে কোনও পশুখামারে যাওয়া যাবে না। উহান শহরে গেলে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ইতিমধ্যেই চিনের উহানে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।  মৃত্যু হয়েছে সিঙ্গাপুর ও তাইল্যান্ডেও। ফলে নোভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে। চিনে এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪০। চিনের ১৪টি প্রদেশে ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সামুদ্রিক মাছ জাতীয় খাবার থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে। মানুষ ছাড়াও উট, বিড়াল, বাদুড়ও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে।