সকাল পৌনে এগারোটা। দমদম জেলের মধ্যে হঠাৎই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বন্দিদের দুই গোষ্ঠী। জেলের কর্মীরা দু-পক্ষকে সরাতে গেলে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। শুরু হয় ব্যাপক ইটবৃষ্টি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় জেলের একদিকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমদম থানার পুলিশ। এরই মধ্যে একদল বন্দি মেন গেট ও পাঁচিল ভেঙে পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তাদের আটকায় পুলিশ। দমদম জেলে পৌঁছন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা। যান দমকলমন্ত্রীও। সেই সময় ফের পুলিশকে লক্ষ্য করে জেলের ভিতর থেকে ইট-পাথর ছোড়া হয়।
পরে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় জেলের ভিতরের আগুন নেভানো হয়। এরপর বেশ কয়েকজন বন্দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বের করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আর জি কর হাসপাতালে চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
মৃত বন্দির দাদার অভিযোগ, ‘ভাইকে পুলিশ গাঁজা কেসে গ্রেফতার করেছিল। এখন জেলের মধ্যে গুলি করে মেরেছে।’ অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, দমদম জেলে অশান্তির দিনই বিকেলে উত্তেজনা ছড়ায় প্রেসিডেন্সি জেলে। বেজে ওঠে সাইরেন। তড়িঘড়ি প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছয় আলিপুর ও হেস্টিংস থানার পুলিশ। যায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডাদমন শাখা, ডিসি সাউথ নীরজ খালিদ। কারা কর্মী মারফত বোঝানোর পর শান্ত হন বন্দিরা।