নয়াদিল্লি: অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হবে আগামী মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর। নয়াদিল্লিতে আধ ঘন্টা মুখোমুখি দুজনের কথা হবে বলে সূত্রের খবর। যৌথভাবে স্ত্রী এস্থার ডাফলো ও আরও এক অর্থনীতিবিদের সঙ্গে ২০১৯-এর নোবেল পুরস্কার প্রাপক হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা হওয়ার পর গতকাল রাতেই দেশে ফিরেছেন অভিজিৎ বিনায়ক। যদিও কী নিয়ে তাঁরা কথা বলবেন, জানা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ইতিমধ্যেই ট্যুইটে অভিনন্দন জানিয়েছেন। গরিবি হঠাতে তিনি উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, বলেছেন তিনি।
এমন এক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ও অভিজিৎ বিনায়কের আলোচনা হতে চলেছে যখন ভারতের অর্থনীতির ঝিমিয়ে পড়ার প্রসঙ্গে সরব নানা মহল। তারা মোদি সরকারকেই এজন্য দুষছে, বলছে, অর্থনীতির হাল ফেরানোর উপায় কেন্দ্রের সরকারের জানা নেই। সরকারের শীর্ষ মন্ত্রী ও শাসক দলের নেতারা পাল্টা দাবি করছেন, অর্থনীতি ঠিক রাস্তাতেই চলছে। উল্টে তাঁরা প্রাক্তন ইউপিএ সরকারের জমানায় অর্থনীতি ঠিক পথে চালিত হয়নি, একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। অভিজিৎ বিনায়কও নোবেল পুরস্কার গ্রহণের পর সংবাদমাধ্যমকে অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে বলে অভিমত জানিয়েছেন। অতীতে তিনি মোদি সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেছিলেন।
গতকাল বিজেপির জাতীয় স্তরের নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল অভিজিৎ বিনায়কের নোবেল প্রাপ্তি গর্বের ব্যাপার বলেও তাঁর চিন্তাভাবনা বামপন্থী বলে কটাক্ষ করেছেন। নামী অর্থনীতিবিদের ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতিশ্রুতি দেওয়া ন্যায় প্রকল্পের খসড়া তৈরিতে যুক্ত থাকার প্রসঙ্গ তুলেও গয়াল বলেন, দেশের মানুষই যেখানে ন্যায় প্রকল্পকে প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাই তিনিও অভিজিৎ বিনায়কের চিন্তাভাবনার সঙ্গে একমত নন। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা রাহুল সিংহও কটাক্ষ করেন, দ্বিতীয় স্ত্রী বিদেশি হলেই কি নোবেল পুরস্কার পাওয়া যায়! ঘটনাচক্রে অভিজিৎ বিনায়কের স্ত্রী জন্মসূত্রে বিদেশি।