রাঁচি: তিনিও উইকেট কিপার, ঋষভ পন্থও। কিন্তু ভারতীয় দলের প্রথম এগারোয় জায়গা পাওয়ার চাপ তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরায়নি। বললেন ঋদ্ধিমান সাহা।

কাঁধে অস্ত্রোপচারের জেরে ২০ মাস ভারতীয় দলের বাইরে ছিলেন ঋদ্ধিমান। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভাইজাগ টেস্টে দলে ফেরেন তিনি। আর পুনে টেস্টে তাঁর দুর্দান্ত কিপিং সকলকে চমকে দিয়েছে। ক’দিন পর তাঁর ৩৫ বছরের জন্মদিন। তার আগে শিলিগুড়ির ছেলে ব্যস্ত ঋষভকে ট্রেনিং করাতে। তবে তার আগেই নিজের প্রশিক্ষণ সেরে নিয়েছেন তিনি।

ঋষভকে কি গাইড করছেন? তা অবশ্য স্বীকার করেননি ঋদ্ধি। জানিয়েছেন, উইকেট কিপাররা সাধারণত যে সব কথাবার্তা বলেন, তাঁরাও তাই বলছিলেন। তিনি, শ্রীধর ও পন্থ এক সঙ্গে মিলে ঠিক করেন কোন উইকেটে কী ধরনের কিপিং চলবে। এই বোঝাপড়া আরও সহজ করে দেয় তাঁদের কাজ, ঋদ্ধি বলেছেন।

ঋদ্ধিমান আরও বলেছেন, তাঁরা সব সময় একে অপরের উইকেট কিপিং লক্ষ্য করেন। ট্রেনিংয়ের সময় কঠোর পরিশ্রম করেন তিনজনেই, নিজেদের মধ্যে ভাল বোঝাপড়াও রয়েছে। কেউ কোনও ভুল করলে সব সময় ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে। এমনকী নেটে বিরাট কোহলির পিছনে দাঁড়িয়ে তাঁর ব্যাট করার ধরনও গভীরভাবে লক্ষ্য করেন তিনি। উইকেটে কতটা বাউন্স রয়েছে তা সহজে বোঝা যায়।

বিশেষজ্ঞরা এক বাক্যে জানাচ্ছেন, ঋদ্ধিমানের উইকেট কিপিং এই মুহূর্তে বিশ্বসেরা। কিন্তু তাঁর ব্যাটিং অতটা প্রশ্নহীন নয়, বিসিসিআই সভাপতি হতে চলা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেছেন, ব্যাটিংয়ে তাঁকে আরও উন্নতি করতে হবে। ঋদ্ধি বলেছেন, যেই দলে জায়গা পাক, সেই চায়, কিছু না কিছু করে দেখাতে। উইকেট কিপার হিসেবে তিনি চান, মাঝামাঝি জায়গায় ব্যাট করতে নামতে, সুযোগ পেলে পার্টনারশিপে খেলে অন্তত ৫০ করতে। সকলে সেই চেষ্টা করে। কখনও চেষ্টা সফল হয়, আবার কখনও হয় না। তবে ২০১৭-র মার্চে এই রাঁচিতেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে তাঁর।

এই মুহূর্তে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২-০ টেস্টে এগিয়ে। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই, বলেছেন ঋদ্ধিমান। বরং ৩-০-য় সিরিজ জিতে নিয়ে অতিথি দেশকে পুরোপুরি হোয়াইটওয়াশ করতে চান তাঁরা।