কলকাতা: রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব বিরোধী দলগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছেন বিরোধী নেতারা। সুপ্রিম কোর্টেও রাফাল চুক্তি নিয়ে ধাক্কা খেয়েছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে এবিপি আনন্দ-সি ভোটার জনমত সমীক্ষায় কী উঠে এল দেখে নেওয়া যাক-

বিরোধীদের রাফাল ইস্যু ভোটে কী প্রভাব ফেলবে? এই প্রশ্নের জবাবে ২৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁদের মতে এই ইস্যুতে বিরোধীদের বিপুল লাভ হবে। ১৪ শতাংশ মানুষের মতে বিরোধীদের সামান্য লাভ হবে। ২১ শতাংশ মানুষ আবার মনে করছেন, রাফাল ইস্যুতে বিজেপি-র লাভ হবে। রাফাল ইস্যু ভোটে কোনও প্রভাবই ফেলবে না বলে মনে করছেন ৩২ শতাংশ মানুষ। ১০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না।

পরের প্রশ্ন ছিল, রাফাল চুক্তিতে কি সত্যিই দুর্নীতি হয়েছে? নাকি বিরোধীরা অকারণে ইস্যু করছে? এক্ষেত্রে ৪৬ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, দুর্নীতি হয়েছে। ৪২ শতাংশ মানুষের মতে, অকারণে ইস্যু করা হচ্ছে। ১৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না।

মোদী সরকারের কি রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত সব তথ্য প্রকাশ করা উচিত? এই প্রশ্নের জবাবে ৭৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, চুক্তির তথ্য প্রকাশ করলে বিতর্ক মিটবে। তাই তথ্য প্রকাশ করা উচিত। ২০ শতাংশ মানুষের মতে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। তাই তথ্য প্রকাশ করা উচিত না। ৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না।

রাফাল ইস্যুতে মোদীর স্বচ্ছ ভাবমূর্তি কতটা ধাক্কা খেয়েছে? এই প্রশ্নের জবাবে ৩২ শতাংশ মানুষ মনে করছেন, মোদীর ভাবমূর্তি অনেকটা ধাক্কা খেয়েছে। ২১ শতাংশ মানুষের মতে মোদীর ভাবমূর্তি কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। ৪১ শতাংশ মানুষ আবার মনে করছেন, মোদীর ভাবমূর্তি একেবারেই ধাক্কা খায়নি। ৭ শতাংশ মানুষ এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।

রাফাল বিতর্কের প্রেক্ষাপটে জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্নে কোন নেতাকে বিশ্বাস করেন? এই প্রশ্নে অবশ্য কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে মোদী। ৫৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, জাতীয় সুরক্ষার প্রশ্নে তাঁরা মোদীকে বিশ্বাস করেন। ৩০ শতাংশ মানুষ রাহুলকে বিশ্বাস করার কথা জানিয়েছেন। ৩ শতাংশ মানুষ আবার এই দুই নেতাকেই বিশ্বাস করার কথা জানিয়েছেন। ১০ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা মোদী ও রাহুল দু’জনকেই বিশ্বাস করেন না। ৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না।