হায়দরাবাদ:  হায়দরাবাদের এগারো বছরের এই স্কুল পড়ুয়া, ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের কোচিং করায়। সূত্রের খবর, মহম্মদ হাসান আলি নামের ওই নাবালক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্নাতক এবং স্নাতকস্তরের পড়ুয়াদের কোচিং করায়।

হাসান আলি নিজে এখন স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। তার লক্ষ্য, ২০২০ সালের মধ্যে প্রায় হাজার খানেক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে কোচিং করানো। এই কোচিং দেওয়ার জন্যে যদিও কোনও পারিশ্রমিক নেয় না সপ্তম শ্রেণির খুদে পড়ুয়া।

হায়দরাবাদের এই বিষ্ময়বালক সারাদিন খেলাধুলো, নিজের পড়াশোনার পর সন্ধেবেলা কোচিং করায়। যাদের মহম্মদ হাসান আলি পড়ায়, তারা প্রত্যেকেই প্রায় তার দ্বিগুণ বয়সের। গতবছর থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রদের কোচিং করানো শুরু করেছে হাসান আলি। কোচিং ক্লাসে হাসান আলির কাছে প্রশিক্ষণ নিতে আসে সিভিল, মেকানিকাল এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়ারা।কিন্তু হঠাত করে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়াদের কোচিং করানো কেন শুরু করল এগারো বছরের এই ছেলে? নিজেই সেকথা জানিয়েছে বিষ্ময়বালক।

হাসান আলির কথায়, ইন্টারনেটে সে একটি ভিডিও দেখেছিল। সেখানে সে দেখে বিদেশে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের অদ্ভূত কাজ করতে হয়। তারপরই তার জানতে ইচ্ছে করে, এখানকার পড়ুয়াদের মধ্যে ঘাটতি কী রয়েছে? তখন সে দেখে এখানকার পড়ুয়াদের টেকনিক্যাল এবং কমিউনিকেশন স্কিল ততটা ভাল নয়। তারপরই কোচিং দেওয়ার ভাবনা আসে এগারো বছরের ছেলের মাথায়।

ছেলেটির নিজের আগ্রহের জায়গা ছিল ডিজাইনিং। এরপরই সে নিজে পড়তে ও পড়াতে শুরু করে।