নয়াদিল্লি: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি অঙ্কিভ বৈসোভাকে পদ ছাড়তে বলল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। তাঁর বিরুদ্ধে জাল ডিগ্রি দেখিয়ে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার অভিযোগে বিতর্ক চলছে। এ ব্যাপারে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিতে বলার পাশাপাশি দলীয় সংগঠনে যাবতীয় দায়দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে বিজেপির ছাত্র শাখা। তারা বিবৃতি দিয়ে জানায়, বৈসোভাকে সরতে বলা হয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের ‘বৈধতা’ বজায় রাখতেই।
গত সেপ্টেম্বরের ছাত্রভোটে ডিইউএসইউ-র সভাপতি নির্বাচিত হন বৈসোভা।
কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআইয়ের নেতা সানি ছিল্লারের অভিযোগের ভিত্তিতে বৈসোভার বিরুদ্ধে জাল ডিগ্রি মামলার শুনানি চলছে দিল্লি হাইকোর্টে। ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে বৈসোভার নির্বাচন বাতিলের দাবি করেছেন তিনি। বৈসোভার ডিগ্রি ‘জাল’, ‘নকল’, তিরুভাল্লুভার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এটা ‘স্পষ্ট’, ‘দ্বিধাহীন’ ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন বলে মিডিয়ায় বেরনো রিপোর্টের প্রেক্ষিতে এই দাবি তাঁর। ছিল্লার সওয়াল করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোট নিয়ে লিংডো কমিটির গাইডলাইনেই রয়েছে, ফলাফল ঘোষণার দু মাসের মধ্যে কোনও পদ খালি হলে নতুন করে নির্বাচন করতে হবে।
তামিলনাড়ুর ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া বৈসোভার স্নাতক ডিগ্রির বৈধতা খতিয়ে দেখতে গত সোমবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। যে দুমাসের সময়সীমার মধ্যে নতুন করে নির্বাচন করানো যেত, তা শেষ হয়েছে ১৩ নভেম্বর।
ছিল্লারের আরও অভিযোগ, দু মাসের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর জাল ডিগ্রি ইস্যুতে বৈসোভার সভাপতি পদে নির্বাচন খারিজ হলে যেহেতু নতুন করে ভোট করতে হবে না, তাই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ইচ্ছা করেই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় দেরি করছে।
এনএসইউআইয়ের দাবি, ২০ নভেম্বরের শুনানির মুখে চাপে পড়েই বৈসোভাকে সরতে বলল এবিভিপি। ওদের সামান্য মানমর্যাদা যাও বা অবশিষ্ট আছে, সেটুকু বাঁচানোর চেষ্টা করছে। বিষয়টা প্রকাশ্যে আসার পরই তাঁকে সরে যেতে বলার পরিবর্তে দু মাস ধরে অপেক্ষা করা হল যাতে সভাপতি পদটা এবিভিপির দখলে রেখে দেওয়ার চেষ্টায়। নিজেরাও কোনও তদন্ত কমিটি গড়েনি এবিভিপি। তাই শেষ মূহূর্তে তড়িঘড়ি এই লোক-হাসানো পদক্ষেপ।