কলকাতা: কালীপুজোয় (Kalipuja 2021) আলোর দিনে, এত বড় অন্ধকার নেমে আসবে ভাবতেই পারেননি কেউ। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee) মৃত্যুতে শোকাহত রাজনৈতিক মহল। রাজনীতিবিদ হিসাবে কেমন ছিলেন? কেমন ছিলেন ব্যক্তি সুব্রত? স্মৃতিচারণায় শাসক থেকে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীরা। এদিন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে (Subrata Mukherjee Death) প্রদেশ কংগ্রেস (Congress) সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adir Ranjan Chowdhury) জানিয়েছেন, 'খুব দুঃখজনক ঘটনা। আমি গত ১ তারিখেও হাসপাতালে ওনার সঙ্গে দেখা করে এসেছি। খোস মেজাজেই ছিলেন। আমার সঙ্গে গল্প করলেন। খুবই অদ্ভু লাগছে।'


জেলা থেকে কলকাতায় পড়তে আসা সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের (Subrata Mukherjee)। বঙ্গবাসী কলেজ (Bangabasi College) থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Kolkata) আসেন। সেখানেই প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির (Priya Ranjan Dasmunsi) সঙ্গে আলাপ হয়। তারপর, কংগ্রেসের রাজনীতিতে হাতেখড়ি। প্রিয়-সুব্রত-সোমেন। একসুরে তখন উচ্চারিত হত এই তিনটি নাম। ১৯৭২ সালে সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। 


আরও পড়ুন: Subrata Mukherjee: 'আমি গভীরভাবে ব্যথিত, মর্মাহত' সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকবার্তা শুভেন্দুর


এ প্রসঙ্গ টেনে এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, 'সবাই জানেন সুব্রতদার রাজনৈতিক পড়াশোনা, বিচক্ষণতার কোনও জবাব নেই। বাংলার কংগ্রেসে ত্রিমূর্তি প্রিয়-সুব্রত-সোমেন রইল না, এটা আমাদের কাছে যন্ত্রণার।' তাঁর কথায়, 'একটা জেনারেশন শেষ হয়ে গেল বাংলায়। সুব্রত দা একজন দক্ষ, যোগ্য মানুষ ছিলেন। এটা বাংলার রাজনীতিতে অপূরণীয় ক্ষতি বলে মনে করি আমি। শত প্রতিকূলতার মধ্যে হাসি-খুশি থাকার এবং রাখার গুণাবলী ছিল তাঁর মধ্যে। খুবই হাসি খুশি মানুষ ছিলেন। সুব্রত দা থাকা মানেই সেখানে আনন্দ হবে। হাসির রোল উঠবে। নানা রকমের গল্প মজা হবে। সিরিয়াস কথাও হবে।' শোকস্তব্ধ অধীরের কথায়, 'সুব্রত দা যখানেই থাকুক তাঁর আত্মাত শান্তি কামনা করি। ওর পরিবারের প্রতি আমার পূর্ণ সমবেদনা রইল।'


পশ্চিমবঙ্গের সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী। তারপর ইন্দিরা গান্ধীরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠা। সুব্রত মুখোপাধ্যায় চলে যাওয়ায়, সাতের দশকে বঙ্গ রাজনীতির তিন দামাল ছেলের সোনালী অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটল।