নয়াদিল্লি: বিজেপির প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর লেখা ব্লগের প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, আডবাণীজির লেখায় বিজেপির মূল চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে। শেয়ার করেন প্রবীণ নেতার ব্লগও।
ভোটের মুখে নীরবতা ভেঙে বিস্ফোরক ব্লক লিখলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। সেখানে তিনি বলেন, বিজেপির রাজনৈতিক মতের সঙ্গে না মিললেই, কাউকে দেশদ্রোহী বলে দেওয়া যায় না।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আডবাণী নাম না করে ঘুরিয়ে মোদিকেই খোঁচা দিয়েছেন। ব্লগের মাধ্যমে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সরকারকে মনে করিয়ে দিলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানোই শুরুর দিন থেকে বিজেপির নীতি। পরিষ্কার বললেন, কেউ বিজেপির মতাদর্শে বিশ্বাস না করলেই তাঁকে ‘দেশদ্রোহী’ বলে দেওয়াটা অনুচিত।
যদিও, আডবাণীর এই ব্লগের ভূয়সী প্রশংসাই শোনা গিয়েছে মোদির গলায়। টুইটারে তিনি প্রতিক্রিয়া দিয়ে লেখেন, আডবাণীজির লেখায় বিজেপির মূল চরিত্রের প্রতিফলন ঘটেছে। যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল দেশ সবকিছুর আগে, তারপর দল, সবার পরে নিজে।






মোদি আরও লেখেন, বিজেপি কর্মকর্তা হয়ে তিনি গর্বিত। আডবাণীজির মতো প্রথিতযশা নেতারা দলকে আরও শক্তিশালী করেছেন। এখানেই শেষ নয়। আডবাণীর ব্লগটি শেয়ারও করেন মোদি।
আগামী ৬ এপ্রিল বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবস। তার ঠিক দুদিন আগে দেশের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রীর ব্লগ ঘিরে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ব্লগে আডবাণী লেখেন, ভারতীয় গণতন্ত্রের মূল নির্যাসই হল প্রতিপক্ষকে সম্মান করা এবং বাক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান দেখানো।যাঁরা বিজেপির রাজনৈতিক মতামতের বিরোধী, জন্মলগ্ন থেকেই বিজেপি তাঁদের ‘শত্রু’ বলে মনে করেনি, শুধুমাত্র ‘প্রতিপক্ষ’ বলে মনে করেছে। একইভাবে ভারতীয় জাতীয়তাবাদের যে ধারণায় আমরা বিশ্বাসী, তা অনুযায়ী, যাঁরা আমাদের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে একমত নন, তাঁদের আমরা কখনও ‘দেশদ্রোহী’ বলে মনে করিনি। ব্যক্তিগতস্তরে হোক কিংবা রাজনৈতিকস্তরে, বিজেপি সর্বদা প্রত্যেক নাগরিকের বাক স্বাধীনতার প্রতি দায়বদ্ধ থেকেছে।