কোচবিহার: দিনহাটার পর কোচবিহারের মাথাভাঙার জনসভা থেকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল দিনহাটায় প্রথম নির্বাচনী সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সভা থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ করেন তিনি। এদিন কোচবিহারে দ্বিতীয় নির্বাচনী জনসভা থেকেও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখলেন তৃণমূলনেত্রী। এদিন জিএসটি প্রসঙ্গে মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে মহম্মদ বিন তুঘলকের ঠাকুরদা বলেও কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ‘হঠাৎ মনে হল জিএসটি করলেন, উনি তো মহম্মদ বিন তুঘলকের ঠাকুরদা।’


এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, মাথাভাঙার সভা থেকে কী কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়--

# ‘দিনহাটায় বড় সেতু হচ্ছে, নাম হবে জয়ী ব্রিজ।’
# ‘ঝড়-জল-রোদ্দুর আমাকে আটকাতে পারবে না।’
# ‘রেলমন্ত্রী হয়ে চ্যাংড়াবান্ধা-মালবাজার ট্রেন চালু করেছিলাম।’
# ‘একের পর এক ট্রেন দিয়েছি এখানে। অনেক কাজ হয়েছে কোচবিহারে।’
# ‘প্রতি বছর বারবার আসি কোচবিহারে। আমরাই ছিটমহল সমস্যার সমাধান করেছি।’
# ‘১১০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে উন্নয়নের জন্য।’
# ‘পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় করেছি আমরা। ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিক্যাল, পলিটেকনিক কলেজ করেছি আমরা।’
# ‘কর্মতীর্থ, কিষাণ মান্ডি, আইটিআই, সব হয়েছে এখানে। বাঁশ-পাট এখানে ভাল চাষ হয়।’
# ‘ভুটানে গিয়ে দেখেছি কোচবিহার থেকে মানুষ এসে কাজ করছে। কালিম্পংয়ে দেখেছি কোচবিহারের মানুষরা গৃহ নির্মাণে যুক্ত।’
# ‘এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী ৫ বছর আগে বলেছিলেন চা-ওয়ালা। এখন চা-ও নেই, চিনিও নেই।’
# ‘এখন বলছে আমি চৌকিদার। এই চৌকিদার ঝুটা হ্যায়।’
# ‘টাকা দিয়ে ভোট কিনতে চাইছে বিজেপি। জনগণের টাকা বোকা বানিয়ে তুলে নিয়েছে।’
# ‘বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে ব্যাঙ্কের টাকা পাবেন না। কষ্ট করে ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে, ওরা ঠিক করবে কত টাকা তুলতে পারবেন।’
# ‘বেকারত্ব বিজেপির আমলে যা বেড়েছে, তা ৪৫ বছরে রেকর্ড।’
# ‘সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে মোদি বাবু?’
# ‘চা-ওয়ালা নতুন করে চৌকিদার সেজেছে। অনেক জায়গায় চৌকিদার মাইনে পাচ্ছেন না।’
# ‘বিএসএনএল-এর ৪৫ হাজার কর্মচারীর ২ মাস বাদে চাকরি যাবে।’
# ‘বেকাররা কেন চাকরি পাচ্ছেন না, মোদি সরকার জবাব দাও।’
# ‘কেন ১২ হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছে, জবাব দাও।’
# ‘কেন গো-রক্ষার নামে মানুষকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে, জবাব দাও।’
# ‘বাংলায় কোনওদিন এনআরসি করতে দেব না।’
# ‘প্রধানমন্ত্রীর সারা শরীরে লেগে আছে রক্ত।’
# ‘কী করে জিতবেন, এক্সপায়ারি ডেট হয়ে গিয়েছে।’
# ‘বাংলার সঙ্গে পাহাড়ের ঝগড়া লাগিয়েছে বিজেপি।’
# ‘হঠাৎ মনে হল জিএসটি করলেন, উনি তো মহম্মদ বিন তুঘলকের ঠাকুরদা।’
# ‘মনে হল টিভি চ্যানেল বানালেন, নিজের নামে সিনেমা বানাচ্ছেন।’
# ‘উদ্ধত এক্সপায়ারি প্রধানমন্ত্রী, দুর্নীতিগ্রস্ত, ঝুটো চৌকিদার।’
# ‘বিজেপি নেতারা এসে বলছেন এখানে দুর্গাপুজো হয় না। যা ইচ্ছে তাই বলে যাচ্ছে।’
# ‘আগামীদিনে মা দুর্গার মতো ঘরের মেয়েরা, অশুভ শক্তিকে বধ করবে।’
# ‘বিজেপির লোকেরা শুধু নিজেরা খাবে। বাংলার জন্য কী করেছে বিজেপি?’
# ‘ইচ্ছেমতো আয়কর, সিবিআই, ইডি পাঠাচ্ছে বিজেপি।’
# ‘সবাইকে মোদি-সেনা বানাচ্ছেন, বিজেপি তাদেরকে ব্যবহার করতে পারে না।’
# ‘সবাই মিলে বিজেপি-মোদিকে হটিয়ে দেশ বাঁচাতে চাইছি।’
# ‘আবার ক্ষমতায় বিজেপি এলে সংবিধান পাল্টে দেবে।’
# ‘মোদি বাবুদের তিনটি গুণ, লুঠ-দাঙ্গা-মানুষ খুন।’
# ‘রাজ্য স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেবে পরিবারের মায়ের নামে।’
# ‘৯২৫ কোটি টাকা খরচ করে রাজ্যের কৃষকদের জন্য শস্যবিমা করিয়েছি। কৃষক আচমকা মারা গেলে তার পরিবার পাবে ২ লক্ষ টাকা।’
# ‘উদ্বাস্তু কলোনির সবাই যাতে পাট্টা পায়, তার জন্য আইন এনেছি। রাজবংশীরা, কামতাপুরীরা নিজেদের পরিচয় নিয়ে সম্মানের সঙ্গে বাঁচুন।’
# ‘সাড়ে সাত বছরে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান করেছি। ১৪৪ কোটি শ্রমদিবস তৈরি করেছি রাজ্যে।’
# ‘১১৯টি দেশের মধ্যে অনাহারের তালিকায় ১০৩ নম্বরে ভারত।’
# ‘কৃষকরা অসুবিধায় পড়লে আমরা টাকা দিয়ে সাহায্য করি।’
# ‘অতীতের বাম শাসনে কিছু পেয়েছে মানুষ? আমাদের আমলে সবাই কিছু না কিছু সাহায্য পেয়েছে।’
# ‘দিল্লির সরকার গড়বে বাংলাই।’
# ‘মোদি সরকার বদলে দিন, মানুষকে বাঁচতে দিন। মোদিবাবুকে বিদায় দিন, বিজেপি সরকারকে কবর দিন।’