এবার পঞ্জশিরেও উড়ল তালিবান পতাকা। হিন্দুকুশের কোলে আফগানিস্তানের ওই প্রদেশ সম্পূর্ণভাবে দখল হয়েছে বলে সরকারিভাবে দাবি করল তালিবান। ইসলামিক এমিরেটস অফ আফগানিস্তানের তরফে তালিবান মুখপাত্র জবিউল্লা মুজাহিদ জানিয়েছেন, শূন্যে গুলি চালিয়ে বিজয় উত্সব পালন করা হবে না। তালিবানের দাবি ভিত্তিহীন, পাল্টা জানাল নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। 


এর আগে তালিবান হামলায় নিহত হন আহমেদ মাসুদের ঘনিষ্ঠ ও রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের মুখপাত্র ফাহিম দাস্তি-সহ ৩ জন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের শীর্ষস্থানীয় কম্যান্ডার। একইসঙ্গে মাসুদের সঙ্গী আমরুল্লা সালেহ্-র বাড়িতেও দু’ দু’বার হামলা চালানো হয়। নিরাপত্তার জন্য অজ্ঞাতস্থানে চলে গিয়েছেন আফগানিস্তানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। 


রেজিস্ট্যান্স ফোর্সের দাবি, তালিবানের হয়ে ড্রোনের সাহায্যে পঞ্জশিরে বোমা বর্ষণ করছে পাক বায়ুসেনা। প্রাণহানি এড়াতে যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েছে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স। তাদের নেতা আহমেদ মাসুদ ফের একবার জানিয়েছেন, শান্তি আলোচনার জন্য তিনি প্রস্তুত। তবে তার আগে তালিবানকে পঞ্জশির উপত্যকা ও পার্শ্ববর্তী আন্দারাব থেকে সরতে হবে। 


পঞ্জশির দখল ঘিরে দাবি আর পাল্টা দাবিতে ক্রমশ বেড়েছে ধোঁয়াশা। নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের (Northern Alliance) দাবি, তালিবানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হামলা চালাচ্ছে আল কায়দা (Al Qaeda)। তালিবানের বদরি বাহিনীর উর্দি পরে পাক সেনাও আক্রমণ করছে বলে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স দাবি করেছে। হিন্দুকুশের কোলে পঞ্জশির উপত্যকা দখলে সপ্তাহব্যাপী মরণপণ যুদ্ধ চলছে তালিবান এবং রেজিসট্যান্স ফোর্সের। নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের আরও দাবি, শতাধিক তালিবান নিহত হয়েছে। পাল্টা পঞ্জশির দখলের দাবি জানিয়েছে তালিবানও।


অন্যদিকে আফগানিস্তানে পণবন্দি করা হয়েছে মার্কিন নাগরিকদের। আটকে রাখা হয়েছে ৬টি বিমান। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন টেক্সাসের রিপাবলিকান প্রতিনিধি। তাঁর দাবি, মাজার-ই-শরিফে ৬টি বিমান আটকে রেখেছে তালিবান। ওই বিমানগুলিতে মার্কিন নাগরিক ছাড়াও বিভিন্ন দেশের শতাধিক যাত্রী রয়েছেন। মার্কিন নাগরিকরা জানিয়েছেন, তাঁদের পণবন্দি করা হয়েছে। দাবি মার্কিন সেনেটের রিপাবলিকান সদস্যের।