নয়াদিল্লি: পঞ্জাব ও কেরলের পর তৃতীয় কংগ্রেস-শাসিত রাজ্য হিসেবে বিধানসভায় সংশোধিত নাগরিক বিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনতে চলেছে রাজস্থান।
শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে রাজস্থানের বিধানসভার অধিবেশন। রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট বৃহস্পতিবার জানালেন, কোনও আলোচনা না হলে গণতন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়ে। তাঁর মতে, কেন্দ্রের উচিত দেশজুড়ে চলতে থাকা মানুষের এই প্রতিবাদকে গুরুত্ব দেওয়া। পাইলট জানান, ২৪ তারিখ বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। এদিন থেকেই বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। তিনি বলেন, আমরা কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছি আইন নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে। সংবিধান আমাদের প্রতিবাদ জানানোর অধিকার দিয়েছে। কিন্তু, কেউ করলে, তাঁদের দেশদ্রোহী বলা হচ্ছে।
আগামী ২৮ তারিখ জয়পুরে জনসভা রয়েছে রাহুল গাঁধীর। চার ঠিক আগে, এদিন সচিন পাইলটের ঘোষণা, রাজস্থান বিধানসভার এই অধিবেশনেই সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানো হবে। সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত বহু মামলার শুনানি চলছে। সেই প্রসঙ্গে পাইলট বলেন, সংশোধিত আইনের বৈধতা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, কেরল ও পঞ্জাব বিধানসভা ইতিমধ্যেই নতুন সিএএ আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাশ করেছে। পাশাপাশি, সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদকে হাতিয়ার করে আইন কার্যকর করার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেরলের শাসক দল। অন্যদিকে, এনপিআর-এর সংশোধনী দাবি করেছে পঞ্জাব। আবার, তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিমবঙ্গও জানিয়েছে তারা বিধানসভায় সিএএ-বিরোধী প্রস্তাব আনবে। সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন সেই কথা।
পাইলট জানান, আইনের পরিধির মধ্যে থেকে সিএএ-র বিরুদ্ধে মানুষের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানোর অধিকার রয়েছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রতিবাদের নামে যারা আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে, দল তাদের সমর্থন করে না। প্রসঙ্গত, গতমাসে রাজস্থান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত জানান, রাজস্থান সহ আট রাজ্য সিএএ-কে কার্যকর করবে না। ট্যুইটারে তিনি লিখেছিলেন, আমি বহুবার বলেছি, সারা দেশে সিএএ ও এনআরসি আইন কার্যকর করা হবে না। কারণ এই আইন অবাস্তব। প্রতিবাদ ও বিরোধীদের পরামর্শ সত্ত্বেও সংখ্যার জোরে সংসদে আইন পাশ করায় কেন্দ্র। তার ফল হচ্ছে, আজ ধর্মমতনির্বিশেষে ছাত্র ও যুবারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে।
এদিন পাইলট জানান, রাহুল গাঁধীর ‘আক্রোশ র‌্যালি’-তে জনজোয়ার হবে। তিনি বলেন, দেশের যুবসমাজের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। শিক্ষিতরা কর্মহীন। অর্থনীতি বেহাল। রাহুল গাঁধী এসবের ওপরই আলোকপাত করবেন। র‌্যালি থেকে রাহুলের বার্তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে আত্মবিশ্বাসী পাইলট।