কোভিড-১৯: এবার প্লাজমা থেরাপির ক্লিনিকাল পরীক্ষা শুরুর ভাবনা এইমসের

ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ Updated at: 29 Apr 2020 02:09 PM (IST)

প্লাজমা থেরাপিতে সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর শরীরের রক্ত থেকে প্লাজমা নিয়ে আরেক বর্তমান আক্রান্তের শরীরে দেওয়া হয়।

NEXT PREV

নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ চিকিৎসার পন্থা হিসেবে বেশ কিছুদিন ধরেই উঠে আসছে প্লাজমা থেরাপির নাম। এবার, এই ক্রমে স্বাস্থ্যপুনরুদ্ধারকারী প্লাজমা থেরাপির ক্লিনিকাল পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনার কথা জানাল অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সস (এইমস)। এই প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় অনুমতি পেতে ইতিমধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)-কে আবেদনপত্র পাঠানো হয়ে গিয়েছে।


এইমসের ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া জানান, কোভিড-১৯ সংক্রমণের চিকিৎসা পদ্ধতি এখনও গবেষণা ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে এই প্লাজমা থেরাপির উপকারিতা যাচাই করা এবং তা করোনভাইরাস রোগীদের নিয়মিত ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করার আগে ভাল এবং সু-পরিচালিত গবেষণামূলক পরীক্ষার প্রয়োজন।


তিনি বলেন,


বর্তমানে আইসিএমআর-এর সঙ্গে কাজ করছে এইমস। সেখানে কনভ্লাসেন্ট প্লাজমা থেরাপির কার্যক্ষমতা যাচাই করতে ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের উচিত আইসিএমআর ও ডিসিজিআই-এর থেকে অনুমোদন নিয়ে এবং যথাযথ বিধিসম্মত ক্লিনিকাল নিয়মাবলি মেনে গবেষণা চালানো।-


প্রসঙ্গত, প্লাজমা থেরাপিতে সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর শরীরের রক্ত থেকে প্লাজমা নিয়ে আরেক বর্তমান আক্রান্তের শরীরে দেওয়া হয়। এটা ধরে নিয়ে যে, সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির রক্তের প্লাজমায় এই সংক্রমণের মোকাবিলা করার জন্য যে প্রয়োজনীয় অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, তা আক্রান্তের শরীরের রক্তে মেশি সেখানেও অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করবে।


তবে, গুলেরিয়ার মতে, এক্ষেত্রে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। তাঁর মতে, যথাযথ পরীক্ষা না করে, কোনও সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির প্লাজমা অপর আক্রান্তের শরীরে দিলে সেখানে হিতে বিপরীত প্রমাণিত হতে পারে। কারণ, গ্রহীতা শরীরে বিভিন্ন ধরেনর প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -

© Copyright@2024.ABP Network Private Limited. All rights reserved.