২০০০ সালে লখনউয়ে বিয়ে হয় অখিলেশের। পাত্রী ডিম্পল যাদব। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত রিসেপশনে আমন্ত্রিত ছিলেন বাজপেয়ী। তিনি সে সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী। অখিলেশ তখন কনৌজের সাংসদ। নবদম্পতিকে হাসিমুখে শুভেচ্ছা জানান বাজপেয়ী। প্রবীণ বাজপেয়ীর মধুর সান্নিধ্যের স্মৃতিচারণা করে অখিলেশ ছবিটি ট্যুইট করে লিখেছেন, অটলজীর জীবনাবসানে ভারতীয় রাজনীতি ও সাহিত্য জগতের এক সজীব কণ্ঠ স্তব্ধ হয়ে গেল। আমার শ্রদ্ধা জানাই।
দুজনে ক্ষমতায় বা বিরোধী শিবিরে, য়খন যেখানেই ছিলেন, চিরকাল দারুণ ছিল মুলায়ম সিংহ যাদব ও অটলবিহারী বাজপেয়ীর সম্পর্ক। গেস্ট হাউস কাণ্ডের সময় মায়াবতী যখন মুলায়ম সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেন, তখনও সুসম্পর্ক অক্ষু্ন্ন ছিল তাঁদের। এরপর বিজেপির সমর্থনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন মায়াবতী। কিন্তু মুলায়ম, বাজপেয়ী সখ্য বহাল ছিল। বাজপেয়ী জানতেন কী করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে হয়।
তবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার ব্যাপারে মুলায়মেরও প্রশংসা করে বলা হয়, তিনি নাকি সবসময় ছেলে অখিলেশকে পরামর্শ দিতেন, বাজপেয়ী, আডবাণীকে দেখে পারলে কিছু শিখে নিও। বিধানসভায় তিনি তো এও বলেছিলেন যে, ওই দুজন মিথ্যা বলতে পারেন না।
বাজপেয়ীর প্রয়াণে শোকের আবহাওয়ার মধ্যেই সমাজবাদী পার্টি ২০ আগস্ট নির্ধারিত আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে। তারা রাজ্যব্যাপী মোদী ও যোগী সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন কর্মসূচি নিয়েছিল। তবে অখিলেশের লিখিত নির্দেশ, যাবতীয় প্রস্তাবিত সভা, মিছিল বন্ধ রাখতে হবে।