নয়াদিল্লি: একজন কবি, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক এবং সুবক্তা—এসবের বাইরে, অটল বিহারী বাজপেয়ীর মনের অন্দরটি ভীষণই সংবেদনশীল ছিল।
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংবাদিক রাজীব শুক্ল স্মরণ করে জানান, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার প্রাক্কালে তাঁকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন অটলজি। কারণ, তাঁর মনে হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি হয়ত আক্ষরিক অর্থে মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন।
শুক্ল বলেন, আমি ১৯৯৬ সালে বাজপেয়ীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। পরের দিন ছিল তাঁর শপথগ্রহণ। আমার প্রশ্ন ছিল, অটলজি, আপনি প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। আগামীকাল থেকে আপনাকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকতে হবে। নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে জনসাধারণকে দেখতে পারবেন।
শুক্ল স্মরণ করে জানান, তাঁর এই প্রশ্ন শুনে কেঁদে ফেলেছিলেন বাজপেয়ী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, ওনার রাজনীতি ছিল সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলা। নীতি ভিন্ন হলেও, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতেন। বিরোধীরাও, তাঁকে পছন্দ করত। ওনার মধ্যে কারও প্রতি বিদ্বেষ ছিল না। এর জন্যই সকলেই তাঁকে ভালবাসতেন।
শুক্ল-র মতে, এখনকার নেতাদের উচিত তাঁর থেকে শেখা। মহাত্মা গাঁধী, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী ও জওহরলাল নেহরুর যাবতীয় গুণ অনুসরণ করেছিলেন বাজপেয়ীজি। তিনি অত্যন্ত সুবক্তা ছিলেন।