লখনউ: এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের রোষে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার ও নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, ‘৩ দফার পঞ্চায়েত ভোটে করোনা রুখতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল? পঞ্চায়েত ভোটে কেন করোনা-বিধি মানা হল না? এক্ষেত্রে যারা দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি?’ এ ব্যাপারে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের জবাব তলব করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
হাসপাতালে অক্সিজেনের সঙ্কট নিয়েও যোগী প্রশাসনকে নিশানা করেছে আদালত। ‘অক্সিজেনের অভাবে কারও যেন মৃত্যু না হয়’, এই মর্মে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এক সরকারি কর্মীর করোনায় মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কার্যকলাপের তীব্র সমালোচনা করেছে হাইকোর্ট। কমিশনের ২৭ আধিকারিকের কাছ থেকে এ ব্যাপারে ব্যাখা চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত। পঞ্চায়ের নির্বাচনের সময় কোভিড সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিধি প্রয়োগে ব্যর্থতার জন্য কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, এই প্রশ্নের ব্যাখ্যা তলব করেছে হাইকোর্ট।
বড় হাসপাতালগুলিকে দিনে দুইবার বুলেটিন জারি করতে নির্দেশ
অক্সিজেন সংকট নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে আদালত বলেছেন, স্বাধীনতার সাত দশক পরেও রোগীদের অক্সিজেন যোগানো যাচ্ছে না। এটা খুবই লজ্জার ব্যাপার। রাজ্যে ক্রমবর্দ্ধমান করোনার প্রকোপের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে দিনে দুইবার হেল্থ বুলেটিন জারি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্দেশে বলা হয়েছে, এই বুলেটিন লখনউ, প্রয়াগরাজ, বারাণসী, আগরা, কানপুর, গোরক্ষপুর ও ঝাঁসির বড় সরকারি হাসপাতালগুলি সম্পর্কে জারি করতে হবে। যাতে এই হাসপাতালগুলিতে রোগীদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তথ্য জানা যায়। আদালত হাসপাতালগুলিতে রোগীদের অবস্থা পরিজনদের জানাতে লার্জ স্ক্রিনের ব্যবহার করতে বলেছে।
আদালত সরকারকে ডিস্ট্রিক্ট পোর্টালের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কতগুলি আইসিইউ বেড রয়েছে, তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে। করোনা সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি সিদ্ধার্থ ভার্মা ও বিচারপতি অজিত কুমারের বেঞ্চ। আদালত আরও বলেছে, শুধুমাত্র অ্যান্টিজেন রিপোর্ট নেগেটিভ, এর ভিত্তিতে কোনও রোগীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া যাবে না। কারণ, রোগী অন্য কারণেও সংক্রমিত হতে পারেন। তবে সংশ্লিষ্ট রোগীকে নন-কোভিড ওয়ার্ডে শিফ্ট করা যেতে পারে।
সেইসঙ্গে আদালত বলেছে, কোভিড রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে, এমন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে রেমডিসিভর সহ অন্যান্য ওষুধ ও অক্সিজেনের সরবরাহ যেন পর্যাপ্ত থাকে।