নয়াদিল্লি: ২০১২-র দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের শিকার নির্ভয়ার মা মেয়ের নির্যাতনকারীদের ফাঁসির অপেক্ষায় দিন গুনছেন। ২০ মার্চ ভোরে চার ধর্ষণকারীর ফাঁসি নির্ধারিত হয়েছে। তবে শেষ মূহূর্তে আইনের ফাঁকফোকর খুঁজে করে চরম সাজা ঠেকানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা। এবার আসরে নামল তাদের বাড়ির লোকজন। এরা হল ওদের বৃদ্ধ বাবা-মা, ভাইবোন, বাচ্চাকাচ্চারা। তারা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে চিঠি দিয়ে বলেছে, তারা স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি চাইছে।
হিন্দিতে লেখা চিঠিতে ধর্ষণকারীদের পরিবারের সদস্যরা বলেছে, আপনাকে (রাষ্ট্রপতি) আবেদন করছি, নির্যাতিতার অভিভাবকদেরও বলছি, আমাদের কথাটা মেনে নিন, আমাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন। ভবিষ্যতে যাতে আর কোনও অপরাধ না ঘটে, নির্ভয়ার মতো আরেকটি ঘটনাও না হয়, একজনের জায়গায় পাঁচজনকে ফাঁসির সাজা দিতে না হয় আদালতকে।
এমন কোনও অপরাধ, অন্যায় নেই, যার ক্ষমা হয় না, এহেন সওয়াল করে চিঠিতে বলা হয়েছে, আমাদের দেশে, মহাপাপীদেরও তো ক্ষমা হয়। প্রতিশোধ তো ক্ষমতার সংজ্ঞা নয়। ক্ষমা করে দেওয়ার মধ্যেও শক্তির পরিচয় মেলে।
বিনয় শর্মা, অক্ষয় সিংহ ঠাকুর, পবন গুপ্তা ও মুকেশ সিংহ, এই চার দোষীর সকলেই কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছে। তিনি সবারটা নাকচ করেছেন। তবে তারপরও অক্ষয় আবার একটি ‘সম্পূর্ণ’ পিটিশন দিয়েছে তাঁকে। তার দাবি, আগের যে পিটিশন রাষ্ট্রপতি নাকচ করেছেন, তাতে সব তথ্য ছিল না। পাশাপাশি দিল্লি হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টেও দোষীদের বেশ কয়েকটি পিটিশন বিচারাধীন রয়েছে।
২০১২র ১৬ ডিসেম্বর রাতে ২৩ বছরের প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে ৬ জন। এক নাবালকও ছিল তাদের মধ্যে। মেয়েটি জোর লড়াই করে মারা যায় হাসপাতালে। ঘটনাটি সারা দেশের বিবেক নাড়িয়ে দিয়ে যায়।