# অলোক বর্মাকে সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে অপসারণের সিদ্ধান্তের কিছুক্ষণ বাদেই কংগ্রেস তার তীব্র নিন্দা করে ট্যুইট করেছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফের প্রমাণ করলেন, তিনি নিরপেক্ষ সিবিআই ডিরেক্টর বা জেপিসির মাধ্যমে সংসদীয় তদন্তে খুবই ভয় পাচ্ছেন। রাফাল ডিল নিয়ে কংগ্রেস মোদিকে লাগাতার নিশানা করছে। সেই ইস্যুতেই তাঁকে খোঁচা দিল কংগ্রেস। পাশাপাশি বর্মাকে নিজের বক্তব্য জানানোর সুযোগ না দিয়েই সরিয়ে দেওয়া হল বলেও অভিযোগ করেছে প্রধান বিরোধী দল।



নয়াদিল্লি: অলোক বর্মাকে সিবিআই ডিরেক্টর পদ থেকে শেষ পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হল। সু্প্রিম কোর্ট তাঁকে ডিরেক্টর পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেওয়ার পর আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তাঁর ভাগ্য নির্ধারণে দু ঘন্টার ওপর বৈঠক করে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে, সু্প্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ মনোনীত বিচারপতি এ কে সিকরি। গগৈ সিকরিকে সেখানে নিজের প্রতিনিধি হিসাবে পাঠান। বৈঠকে বর্মা তাঁর যাবতীয় ক্ষমতা সহ পদে বহাল থাকবেন কিনা বা কে হবেন তাঁর উত্তরাধিকারী, সে ব্যাপারে আলোচনা হয়। সেখানেই ঠিক হয়, দুর্নীতি ও কর্তব্য পালনে গাফিলতির জন্য তাঁকে অপসারিত করা হবে। ফলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের কাজে যোগদানের ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই পদ ছাড়তে হল বর্মাকে।
সূত্রের খবর, মোদির বাসভবনে কমিটির বৈঠকে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) যে রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা হয়, তাতে বর্মার বিরুদ্ধে আট দফা অভিযোগের উল্লেখ রয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে তাঁকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খাড়্গে অবশ্য তার বিরোধিতা করেন। শোনা যাচ্ছে, বর্মাকে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে পাঠানো হতে পারে।
এদিন অপসারণের কয়েক ঘন্টা আগে অবশ্য ৫ অফিসারকে বদলি করেন বর্মা। গতকাল তিনি সরান ১০ অফিসারকে।
সিবিআইয়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
সিবিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার সঙ্গে ডিরেক্টর বর্মার নজিরবিহীন সংঘাতের প্রেক্ষিতে দুজনকেই পদ থেকে সরিয়ে, যাবতীয় ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে দু মাস আগে জোর করে ছুটিতে পাঠায় সরকার। দুজনে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের মধ্যরাতের নির্দেশে বর্মাকে ডিরেক্টর পদ থেকে সরিয়ে ছুটিতে পাঠানোর পদক্ষেপ বাতিল করে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয়। যদিও রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, বর্মা পদ ফিরে পেলেও উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তাঁর ভবিষ্যত্ স্থির করা পর্যন্ত কোনও পলিসিগত সিদ্ধান্ত তিনি নিতে পারবেন না।