বিয়ারিত্স ও লন্ডন: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয়  পক্ষের মধ্যস্থতার কোনও প্রয়োজন নেই বলে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিলেন। তিনি বলেছেন, দুই দেশ সমস্ত ইস্যু নিয়েই আলোচনা এবং দ্বিপাক্ষিকভাবে সমস্যার নিষ্পত্তি করতে পারে। এরজন্য ‘তৃতীয় কোনও দেশকে বিব্রত করতে চাই না’ বলেও মন্তব্য করেছেন মোদি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন যে, ফ্রান্সের বিয়ারিত্সে জি-৭ শীর্ষসম্মেলনের অবকাশে কাশ্মীর নিয়ে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। সাম্প্রতিক অতীতে ট্রাম্প কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মোদি বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অনেক দ্বিপাক্ষিক বিষয় রয়েছে। আমরা তৃতীয় কোনও দেশকে বিব্রত করতে চাই না। আমরা সমস্ত ইস্যু নিয়েই আলোচনা এবং দ্বিপাক্ষিকভাবে সমস্যার নিষ্পত্তি করতে পারি। সাম্প্রতিক অতীতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে টেলিফোনে তাঁর কথপোকথনের উল্লেখ করে মোদি জানিয়েছেন, তিনি ইমরানকে বলেছিলেন যে, দুই দেশকেই  দারিদ্র ও অন্যান্য সমস্যার বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে এবং দুটি দেশেরই মানুষের জন্য একসঙ্গে কাজ করার প্রয়োজন। মোদির পাশে বসে ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তান নিজেরাই তাদের সমস্যার সমাধান করবে। কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক ইস্যু।দুই দেশ নিজেরাই সমাধান করবে’। ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে, পরিস্থিতি তাঁর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারা পাকিস্তানের সঙ্গে কথা বলেছে। এবং আমি নিশ্চিত যে, তারা কিছু একটা এমন করবে, যা খুব ভালো হবে’। গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তি ও রাজ্যকে দুই ভাগে বিভক্ত করা সংক্রান্ত ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক। ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির পর ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্কে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। পাকিস্তান এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে আন্তর্জাতিক মহলে হাওয়া গরম করতে চাইছে। আন্তর্জাতিক মহলকে ভারত অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, ৩৭০ ধারা বিলোপের বিষয়টি একেবারেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এই বাস্তব বিষয়টি মেনে নিতেও ভারত পাকিস্তানকে পরামর্শ দিয়েছে।