গতকাল রাতে জোড়া ফটকের কাছে রেল লাইনে দাঁড়িয়ে রাবণ দহন দেখছিলেন কয়েকশো লোক। মূহূর্তের মধ্যে বহু মানুষ ছিন্নভিন্ন হয়ে যান।
মুখ্যমন্ত্রী পূর্বনির্ধারিত ইজরায়েল সফর স্থগিত রেখে আজ সকালে এখানে পরিস্থিতি সরজমিনে দেখতে আসেন।
নিহতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। পাশাপাশি বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আহতদের যাবতীয় চিকিত্সার ব্যয়ও বহন করছে রাজ্য সরকার। এপর্যন্ত ৫৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জখম ৫৭ জন। ৯ জন বাদে মৃত বাকি সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অমৃতসর বিমানবন্দর থেকে দুর্ঘটনাস্থলে যান তিনি। ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট গোষ্ঠীর লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজের খবরাখবরও নেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন নভজ্যোত সিংহ সিধু, ব্রহ্ম মহিন্দ্র, ও পি সোনি প্রমুখ মন্ত্রীরা, পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান সুনীল জাখর। মৃতদেহগুলির যত দ্রুত সম্ভব ময়না তদন্ত শেষ করে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, গতকাল দিল্লি বিমানবন্দরে তেল আভিভ রওনা হওয়ার বিমানে উঠতে যাচ্ছেন, তখনই তিনি ট্র্যাজেডির খবর যখন পান। তড়িঘড়ি সফর বাতিল করে ফিরে আসেন। রাতেই তিনি অমৃতসর আসতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পাছে তিনি এলে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যের ক্ষতি হয়, সেজন্য প্রশাসন কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মেনে সিদ্ধান্ত বদলান।