নিউ ইয়র্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত স্টুডিও মেট্রো গোল্ডউইন মেয়ার (এমজিএম) কিনে নিচ্ছে অ্যামাজন। আজ এই ঘোষণা করা হয়েছে। জেমস বন্ডের জন্য বিখ্যাত এমজিএম। এছাড়া আরও অনেক ছবি, টিভি শোয়ের জন্যও বিখ্যাত এই স্টুডিও। সেটাই এবার চলে যাচ্ছে অ্যামাজনের অধীনে। আর্থিক চুক্তির অঙ্ক ৮৪৫ কোটি মার্কিন ডলার। এটা অ্যামাজনের অন্যতম বড় অঙ্কের বিনিয়োগ। অন্য কোনও সংস্থা অধিগ্রহণ করার ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি অর্থ খুব কম ক্ষেত্রেই ব্যয় করেছে অ্যামাজন।
এমজিএম স্টুডিও চার হাজারেরও বেশি ছবি বানিয়েছে। ‘জেমস বন্ড’ ছাড়াও ‘রকি’, ‘টুয়েলভ অ্যাংরি মেন’, ‘বেসিক ইনস্টিঙ্কট’, ‘ক্রিড’, ‘লিগ্যালি ব্লন্ড’, ‘মুনস্ট্রাক’, ‘রেজিং বুল’, ‘সাইলেন্স অফ দ্য ল্যাম্বস’, ‘থেলমা অ্যান্ড লুইস’, ‘টম্ব রেইডার’, ‘দ্য ম্যাগনিফিসেন্ট সেভেন’, ‘দ্য পিঙ্ক প্যান্থার’-এর মতো ছবি তৈরি করেছে এমজিএম। এছাড়া এই সংস্থা ১৭ হাজারেরও বেশি টিভি শো করেছে। যার মধ্যে ‘ফার্গো’, ‘দ্য হ্যান্ডমেইড’স টেল’, ‘ভাইকিংস’ রীতিমতো জনপ্রিয় হয়েছিল। এই সংস্থার ঝুলিতে ১৮০টি অস্কার এবং ১০০ এমিজ পুরস্কার এসেছে।
১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এমজিএম। ৯৭ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্থাটির এবার মালিকানা বদল হচ্ছে। এই সংস্থাটি অধিগ্রহণ করার ফলে অ্যামাজনের বিশেষ লাভ হবে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অ্যামাজনের দর্শক সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ প্রসঙ্গে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও ও অ্যামাজন স্টুডিওসের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক হপকিনস জানিয়েছেন, ‘আইপি-র যে বিশাল ভাণ্ডার আছে, সেগুলি এমজিএম-এর প্রতিভাবান দলের সঙ্গে মিলে ফের প্রকাশ্যে নিয়ে আসাই এই চুক্তির মূল লাভের অংশ। উচ্চমানের গল্প পরিবেশনের দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে।’
এমজিএম-এর বোর্ড অফ ডিরেক্টরসের চেয়ারম্যান কেভিন আলরিখ জানিয়েছেন, ‘এমজিএম-এর সিংহ (প্রতীক), যেটি হলিউডের স্বর্ণযুগের অন্যতম অঙ্গ, সেই ইতিহাস বজায় থাকবে। এর জন্য আমি গর্বিত। এই স্টুডিওর প্রতিষ্ঠাতাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল প্রতিভাধর শিল্পীদের কাজ তুলে ধরা। সেই ধারা ভবিষ্যতেও বজায় থাকবে। এমজিএম-এর ইতিহাসের সঙ্গে অ্যামাজনের যুক্ত হওয়া এক অনুপ্রেরণামূলক জুটি।’