নয়াদিল্লি: ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের করল হোয়াটসঅ্যাপ। কেন্দ্রের জারি করা নতুন তথ্য-প্রযুক্তি আইনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হবে বলে দাবি করা হয়েছে আদালতে।


হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ট্যুইটার ইউটিউব নিয়ে বিতর্ক নতুন নয়। ফেসবুক ও ট্যুইটারকে নতুন তথ্য-প্রযুক্তি আইন মেনে চলার জন্য তিন মাস সময়সীমা দিয়েছিল কেন্দ্র। গতকাল সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হল। হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের দাবি, ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষার উপর তারা সবচেয়ে বেশি জোর দেয়। হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাটের উপর নজরদারি চালানোর কথা বলা হলে সেই গোপনীয়তা বজায় থাকবে না।


সংবাদসংস্থা আইএএনএস-কে হোয়াটসঅ্যাপের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘চ্যাট খুঁজে বের করতে বলার অর্থ হল প্রতিটি চ্যাটের উপর নজর রাখা। এর ফলে চ্যাটের গোপনীয়তা বজায় থাকবে না এবং মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও বজায় থাকবে না। আমাদের ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য আমরা সারা বিশ্বে নাগরিক সমাজ ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আছি। গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার যে কোনওরকম চেষ্টার প্রতিবাদ করছি আমরা।’


ডিজিটাল মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার যে আইন এনেছে, তাতে গতকালের মধ্যে ব্যবহারকারীদের অভিযোগ শোনা এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি বিশেষ বিভাগ তৈরির কথা বলা হয়। সেই সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকার সোশ্যাল মিডিয়া ও মেসেজিং অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়, সেটা নিয়ে দেশজুড়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা অসাংবিধানিক এবং মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, তারা কেন্দ্রের জারি করা নিয়ম মেনে চলবে। কিন্তু ফেসবুকেরই মালিকানাধীন মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ কেন্দ্রের আইন মানতে নারাজ। ফলে এ বিষয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ মামলা দায়ের করায় এখন আদালতেই এর ফয়সলা হবে।