ভারতের বাজার ধরে রাখতে বিজেপি-র প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ সম্প্রতি উঠছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এদেশে ফেসবুকের নীতি রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা আঁখি দাসের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে মামলা। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানো এবং উস্কানির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে চণ্ডীগড়ে মামলা দায়ের হয়েছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই নিজেদের পক্ষে সাফাই দিতে মুখ খুললেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর।
উল্লেখ্য, এর আগেই ফেসবুকের তরফে বলা হয়েছিল, ‘সব ধরনের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য বা হিংসা ছড়াতে পারে এমন লেখা বা ছবিকে আমরা সব সময়ই নিষিদ্ধ করি। গোটা বিশ্বের জন্যেই আমরা এই নীতি অনুসরণ করে থাকি। এক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক অবস্থান বা দলীয় সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হয় না।’
কিন্তু দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বাণিজ্যিক কারণে ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি এগজিকিউটিভ বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘হেট স্পিচ রুলস’ কার্যকর করেননি। প্রতিবেদনে এ-ও দাবি করা হয়েছে, ভারতে ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আঁখি বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক পোস্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্মীদের বারণ করেছেন। কারণ, ব্যবস্থা নিলে এ দেশে ফেসবুকের ব্যবসা ধাক্কা খেতে পারে।
ভারতে ফেসবুক লিডারশিপ টিম কীভাবে কাজ চালায়, তা খতিয়ে দেখতে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের দাবিতে ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গকে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। এর পাশাপাশি আগামী ২ সেপ্টেম্বর ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে তলব করেছে শশী তারুরের নেতৃত্বাধীন তথ্য প্রযুক্তির সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি। এদিকে অজিতও বলেছেন, ‘অভিযোগ উঠলে আমরা সজাগ হই। এবারও আমরা আরও ব্যবস্থা নেব। ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে পর্যালোচনার কাজও চলছে। নিরপেক্ষ এবং ত্রুটিহীন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।’
তবে অজিত যাই-ই বলুন না কেন ফেসবুকের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছে।