সকাল থেকেই তাঁর মন্দির দর্শন ঘিরে ব্যবস্থাপনা ছিল আঁটোসাঁটো। মঙ্গলটিকা পরিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বরণ করে নেন দলের নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তারপর বিজেপির অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে মন্দিরের গর্ভ গৃহে প্রবেশ করেন অমিত শাহ। করজোড়ে প্রার্থনার পর পঞ্চপ্রদীপ নিয়ে আরতি। তারপর মন্দির থেকেই তিনি বলেন, 'বাংলার ভূমি প্রণবানন্দ, শ্রী চৈতন্যদেব, ঠাকুর রামকৃষ্ণের কৃপাধন্য। স্বামী বিবেকানন্দ, শ্রী অরবিন্দ আধ্যাত্মিক চেতনা সঞ্চার করা ব্যক্তিত্বদের মাতৃভূমি। বাংলা আধ্য়াত্মিক ও ধার্মিক চেতনা জাগানোর কেন্দ্র। বাংলার সেই হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনতে যে-যার নিজের দায়িত্বপালন করুন। মোদিজীর নেতৃত্বে এই দেশ ফের একবার জগৎসভায় গৌরবময় আসন পাক, এই প্রার্থনাই করেছি। ভবতারিণীর কাছে।'
সেই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলকে আক্রমণ করে অমিত শাহ বলেন, 'এখানে তোষণের রাজনীতি চলছে। হারানো গৌরব ফিরে পাক বাংলা। যদিও পাল্টা দিতে ছাড়েনি তৃণমূল। তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের নিন্দা করে বলেন, শ্রীরামকৃষ্ণের পূণ্যভূমিতে দাঁড়িয়ে সাম্প্রদায়িক কথা বলছেন অমিত শাহ।
এরপর মন্দিরের ভিজিটরস বুকে অমিত শাহ লেখেন, মায়ের ডাকেই আজ মন্দিরে এসেছি। এখান থেকেই নরেন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ হয়েছিলেন। মায়ের দর্শন নতুন উত্সাহ ও চেতনা এনে দিল। মন্দির প্রশাসনকে ধন্যবাদ।