নয়াদিল্লি: দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের উপযোগিতা নিয়েই সংশয় জানালেন অমিত শাহ। দেশে বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্র সফল হয়েছে কিনা, প্রশ্ন তুললেন তিনি, যা নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার এখানে এক অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, স্বাধীনতার ৭০ বছর বাদে দেশের মানুষজনের মনে সংশয়, প্রশ্ন উঠেছে যে, বহুদলীয় সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কি ব্যর্থ? এই সিস্টেম কি আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে? তাঁরা কিন্তু হতাশ। যদিও সংবিধান রচয়িতারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন গণতন্ত্রকে পর্যবেক্ষণ, বিশ্লেষণ করে এ দেশের জন্য বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছিলেন যাতে জাতীয় প্রগতি পুষ্ট হয়, মানুষ সমান অধিকার অর্জন করে উন্নতি করতে পারে, এও বলেন বিজেপি সভাপতি।
পূর্বতন কংগ্রেস সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ওদের আমলে প্রতিদিনই দুর্নীতির খবর আসত, সীমান্ত অসুরক্ষিত ছিল, সেনা জওয়ানদের মাথা কাটা যেত, মহিলারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করতেন, প্রতিদিনই লোকজন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতেন। সরকারটা রাজনৈতিক দিক থেকে পঙ্গু হয়ে পড়েছিল, কোনও সিদ্ধান্তই নেওয়া যেত না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এমন এক সরকার ছিল, যেখানে প্রত্যেক মন্ত্রীই নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ভাবতেন, কিন্তু আসল প্রধানমন্ত্রীকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মানতেন না। কিন্তু আগের সেই সরকারের মতো নয় প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির এখনকার বিজেপি সরকার। মোদি সরকার ‘ভোটব্যাঙ্কে’র স্বার্থে কখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, বরং দেশবাসীর কথা ভেবেই নিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, কোনও সরকার ৩০ বছর কাজ করে একটা বড় সিদ্ধান্ত নেয়, কিন্তু আমাদের সরকার ৫ বছর কাজ করে জিএসটি, নোটবন্দি, বায়ুসেনার বিমানহানা সহ ৫০টা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ওদের সময় কেউ যেগুলি করার সাহসই দেখাতে পারেনি।