কলকাতা: বিপর্যস্ত বাংলার পাশে প্রতিবেশী ওড়িশা থেকে রাজধানী দিল্লি এবং দক্ষিণ ভারতের বাম শাসিত রাজ্য কেরল। উমপুনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পশ্চিমবঙ্গ। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। এঁদের মধ্যে ১৯ জনই কলকাতার। শহরে প্রাণহানির সঙ্গেই ধ্বংস হয়েছে ৫০০০ গাছও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমান, লক্ষ-কোটি টাকার ওপরে ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। উমপুন কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে দুই পরগনাকেই। সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, গোসাবা, মিনাখাঁ, রাজারহাটা, ভাঙরের মতো উপকূল সংলগ্ন এলাকায় ক্ষতি সর্বাধিক। বৃহস্পতিবারই প্রধানমন্ত্রীকে ফোনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখে যান, কি সর্বনাশ করে দিয়ে গেল...।’ এরপরই শুক্রবার রাজ্যের পরিস্থিতি দেখে যান খোদ নরেন্দ্র মোদি। সঙ্গে ঘোষণা করলেন এক হাজার কোটি টাকার প্যাকেজও।


রাজ্যের পরিস্থিতি জানতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে ফোন করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, “বাংলার বিপর্যয় দেখে চোখে জল এসে গেছে।” এই বিপর্যয়ে রাজ্যকে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।





রাষ্ট্রপতি ছাড়াও বাংলা এই বিপর্যয়ে পাশে পেয়েছে ওড়িশা, দিল্লিস কেরলকেও।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিবাল এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারই বিজয়ন, প্রত্যেকেই ট্যুইট করে রাজ্যের দুর্দিনে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এঁদের প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পাল্টা ট্যুইট করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।





সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে যোগাযোগ এখনও হয়নি।