এই চাপানউতোরের মধ্যে ১৯ তারিখের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামনে এসেছে। তাতে স্পষ্ট জানা যাচ্ছে, নভজ্যোত কাউর কটার সময় মঞ্চে এসেছিলেন, কতক্ষণ ছিলেন আর কখন বেরিয়ে যান। মঞ্চ থেকে তিনটি বাড়ি দূরে রাজ কুমার নামে নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে পুরো ছবি।
১৯ তারিখ সন্ধেয় অমৃতসরের ধোবিঘাট এলাকায় রাবণ দহন অনুষ্ঠান ছিল। ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ মঞ্চে পৌঁছন নভজ্যোত কাউর। এর ১৪ মিনিট পর অর্থাৎ ৬টা ৫৪ মিনিটে রাবণের কুশপুতুলে আগুন দেওয়া হয়। সে সময় মঞ্চে ছিলেন সিধু পত্নী। এর ৩ সেকেন্ড পর জনতাকে পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায় ট্রেন। তা অবশ্য সিসিটিভিতে ধরা পড়েনি। রাবণ দহনের প্রায় ৫৮ সেকেন্ড পর অর্থাৎ ৬টা ৫৫ মিনিটে নভজ্যোত মঞ্চ থেকে নেমে চলে যান। তখন সম্ভবত তিনি জানতে পারেননি, এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তাঁর বেরিয়ে যাওয়ার প্রায় ১ মিনিটের মাথায় শুরু হয় চেঁচামেচি, হইচই, জনতা ও পুলিশ কর্মীরা ছুটে যান রেল লাইনের দিকে।
দেখুন সেই ভিডিও
স্ত্রীর মুখ রক্ষায় ময়দানে ইতিমধ্যেই নেমে পড়েছেন স্থানীয় বিধায়ক সিধু, প্রশ্ন তুলেছেন চলন্ত ট্রেনের গতি নিয়ে। তাঁর দাবি, তাঁর স্ত্রী দেরিতে অনুষ্ঠানে পৌঁছন বলে যে প্রচার চলছে তা সর্বৈব মিথ্যে, সাড়ে ছটায় অনুষ্ঠান শুরুর সময় ছিল, তিনি পৌঁছন ৬টা ৪০-এ। জোড়া ফাটকের অনুষ্ঠানের ঠিক পরেই তাঁর আরও অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল, তাই বেরিয়ে যান তিনি। বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ঘটনার খবর দিয়ে ফোন আসে, পুলিশ কমিশনার নিজে জানান, দুর্ঘটনাস্থলে আসবেন না, মানুষ মারাত্মক ক্ষেপে রয়েছেন।
সিধুর প্রশ্ন, এমনিতে ধীর গতিতে চলা ট্রেন সে রাতেই অত দ্রুত ছুটে এল কেন। এই ট্রেন বরাবর ৩০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলে তাই এর নাম লাড্ডু ট্রেন। সে রাতেই কেন তা চলছিল ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে। এর পিছনে কারণ কী ছিল। অথচ দুর্ঘটনার আগে দু দুটি ট্রেন ওই লাইন দিয়ে যায় ২৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে। রেল গেটের পাশে এত বড় দুর্ঘটনার দায়িত্ব রেলের নয়তো ঠিক কার, রেল গেটের ৩০০ মিটার দূরে থেকে ট্রেন হর্ন দেয়নি কেন।