নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকে নোটিস দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীর প্রচারসভায় হাজির লোকজনকে বিশ্বাসঘাতকদের ‘গোলি মার দো’ স্লোগান দিতে বলার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওর উল্লেখ করে কমিশনে তাঁর নামে নালিশ জমা পড়েছে। ঠাকুরকে বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।


তাঁর পাশাপাশি বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য অভিযুক্ত বিজেপি এমপি পরবেশ ভার্মাকেও নোটিস পাঠিয়েছে কমিশন। অভিযোগ, ঠাকুরের মতো তিনিও ‘প্ররোচনামূলক’কথাবার্তা বলেছেন দিল্লি বিধানসভা ভোটে দলীয় প্রার্থীর জনসভায় প্রচারে গিয়ে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে প্রকাশ, সোমবার উত্তর পশ্চিম দিল্লির রিথালায় বিজেপি প্রার্থী মনীশ চৌধুরির হয়ে ভাষণে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভকারীদের আক্রমণ করে ঠাকুর স্লোগান দেন, ‘দেশ কে গদ্দারো কো’। সমবেত জনতা চিত্কার করে বলে, ‘গোলি মারো’ অর্থাত্ দেশবিরোধীদের গুলি করে মেরে দাও! অভিযোগ, ঠাকুর তাদের প্ররোচিত করেছেন। তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি, তবে তাঁর টিমের জনৈক সদস্যের সাফাই, মন্ত্রী স্লোগানের দ্বিতীয় অংশটি উচ্চারণ করেননি। এদিন কমিশনকে ঠাকুরের ‘উসকানিমূলক’ ভাষার ব্যবহার নিয়ে রিপোর্ট দেন দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী অফিসার। তারপরই তাঁকে নোটিস পাঠানো হয়। গতকাল অবশ্য একটি সংবাদমাধ্য়মকে ঠাকুর জানান, তিনি দেশদ্রোহীদের সঙ্গে কী করা উচিত, শুধু সেটা জিজ্ঞাসা করেছিলেন জনতাকে। ‘ওদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে হটাও’ বা ‘ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে’, জাতীয় জবাব আসতে পারত। জনতাই ওই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
গতকাল পশ্চিম দিল্লির বিজেপি সাংসদ পরবেশ ভার্মা জনসভায় বলেন, কাশ্মীরে পন্ডিতদের সঙ্গে যা হয়েছে, তা দিল্লিতেও হতে পারে। শাহিনবাগের সিএএ-বিরোধী বিক্ষোভকারীরা দিল্লির বাড়ি বাড়ি ঢুকে মহিলাদের ধর্ষণ, হত্যা করতে পারে।
গত শনিবার কমিশন দিল্লির মডেল টাউন কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্রের বিরুদ্ধেও ৪৮ ঘন্টার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাঁর ৮ ফেব্রুয়ারির দিল্লি ভোট ‘ভারত বনাম পাকিস্তান’ যুদ্ধ হতে চলেছে ট্য়ুইটের জন্য। কমিশনের মত, ওই মন্তব্যে ‘সাম্প্রদায়িক উসকানি’র ইঙ্গিত আছে।