সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা অবশ্য আরও রোমাঞ্চিত হচ্ছেন সেমিফাইনালের সূচি দেখে। যেখানে আর্জেন্তিনার প্রতিপক্ষ আয়োজক দেশ ব্রাজিল। ভারতীয় সময় বুধবার সকালে হবে সেই ম্যাচ। যে ম্যাচের আগে মেসি বলে দিচ্ছেন, ব্রাজিল-আর্জেন্তিনা দ্বৈরথে কেউই ফেভারিট হিসাবে মাঠে নামে না। ভেনেজুয়েলা ম্যাচ শেষ হওয়ার পর মেসি বলেছেন, ‘আর্জেন্তিনা-ব্রাজিল ম্যাচে কাউকে আগাম ফেভারিট বেছে নেওয়া যায় না। কোপা আমেরিকাতে তো একেবারেই বলা যায় না কারণ এখানে যে কোনও দল যে কোনও প্রতিপক্ষকে হারাতে পারে।‘ নেমার-হীন ব্রাজিলকে নিয়েও মেসির গলায় সম্ভ্রম। ‘ব্রাজিলকে আমরা শ্রদ্ধা করি কারণ জানি ব্রাজিল মানে কী,’ বলেছেন মেসি।
আর্জেন্তিনার টুর্নামেন্টের শুরুটা ভাল হয়নি। কলম্বিয়ার কাছে ২-০ গোলে হারতে হয়েছিল। পরের ম্যাচে প্যারাগুয়ের সঙ্গে ১-১ ড্র। গ্রুপের শেষ ম্যাচে কাতারকে ২-০ হারিয়ে শেষ আটে ওঠা নিশ্চিত করে। শুক্রবার রাতেও ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততে হল। ম্যাচের দশ মিনিটের মাথায় ব্যাক হিল শটে চমৎকার গোল করে আর্জেন্তিনাকে এগিয়ে দেন মার্তিনেজ। তারপর বারবার প্রতিপক্ষ বক্সে হানা দিয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি মেসিরা। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে সের্খিও আগুয়েরোর শট ভেনেজুয়েলার গোলকিপারের হাত ফস্কে বেরলে ২-০ করেন লো সেলসো।
ম্যাচের পর আত্মবিশ্বাসী আগুয়েরো বলেছেন, ‘আমরা আর্জেন্তিনা আর নক আউটে খেললে আমরা অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠি। ব্রাজিলের বিরুদ্ধে লড়াই সহজ নয়। তবে আমাদের জার্সির প্রতি সুবিচার করার চেষ্টা করব।’ দীর্ঘ ২৬ বছর কোনও বড় মাপের টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়নি আর্জেন্তিনা। ২০১৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে অল্পের জন্য স্বপ্নভঙ্গ হয়। এরপর পরপর দুবার কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠে দুবারই চিলের কাছে হারতে হয়। ট্রফি খরা কাটানোর সুযোগ ফের হাজির আর্জেন্তিনার সামনে।
পাঁচবারের ব্যালন ডি’ওর জয়ী মেসি বলেছেন, ‘ব্রাজিল চ্যালেঞ্জ সামলানোর মতো ছন্দে রয়েছি আমরা। আমাদের একাগ্র থাকতে হবে। যদিও আমার কাছে কোপা আমেরিকা দুর্দান্ত কাটছে না। তবে দল হিসাবে ভাল খেলছি। রক্ষণভাগ ভরসা দিচ্ছে।’ ব্রাজিলের মাঠ নিয়ে অবশ্য বিরক্ত মেসি। বলছেন, ‘এই মাঠে ভাল ফুটবল খেলাটা কঠিন। বল লাফাচ্ছে। তবে সমস্ত দলকে এই মাঠেই খেলতে হচ্ছে।’