ম্যাঙ্গালুরু: সারা দেশে ত্রস্ত মারণ করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক ব্যবহার, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও বারে বারেই স্যানিটাইজার বা সাবান-জল দিয়ে হাত ধোয়া এবং নাকে-চোখে-মুখে হাত না দেওয়ার মতো স্বাস্থ্য বিধি পালনে জোর দিয়েছেন চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা। সরকারের পক্ষ থেকে বারেবারেই এই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য সবাইকে বলা হচ্ছে। এরইমধ্যে কর্ণাটকের ম্যাঙ্গালুরুতে একটি ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।করোনা সংক্রান্ত বিধির থোড়াই কেয়ার করে মাস্ক না পরেই শহরের একটি সুপার মার্কেটে চলে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি আবার পেশায় চিকিৎসক! কেন তিনি মাস্ক পরেননি, এ কথা জিজ্ঞাসা করতেই সুপার মার্কেটের এক কর্মীর সঙ্গে উত্তপ্ত বচসা জুড়ে দেন ওই চিকিৎসক। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসককে মাস্ক না পরেই একটি সুপার মার্কেটের ভেতরে দেখা গিয়েছে। এমনকি, মাস্ক না পরার পক্ষে তাঁকে আজব যুক্তি দিয়ে সওয়াল করতেও দেখা গেছে। 



জানা গেছে, ওই চিকিৎসকের নাম বি শ্রীনিবাস কাক্কিলায়া। তিনি মাস্ক পরতে অস্বীকার পর ঘটনার সূত্রপাত হয়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সুপার মার্কেটের বিলিং কাউন্টারে তিনি তর্ক জুড়েছেন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, মাস্ক পরার কোনও প্রয়োজন নেই। 
সুপার মার্কেটের কর্মী তাঁকে বারংবার মাস্ক পরার আর্জি জানান। কিন্তু ওই চিকিৎসক মাস্ক পরতে অস্বীকার করেন। বরং তিনি বলেন, সরকার বোকার মতো নিয়ম চালু করেছে। একজন চিকিৎসক হয়ে এ ধরনের বেপরোয়া মনোভাব কেন তিনি দেখালেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  বিভিন্ন রাজ্য সরকারই প্রকাশ্য স্থানে প্রত্যেকের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় এই নিয়ম চিকিৎসক হয়েও পালন করতে অস্বীকার করেন কাক্কিলায়া। 
এই ঘটনায় চিকিৎসক কাক্কিলায়ার বিরুদ্ধে অতিমারী আইনের ধারায় পূর্ব (কাদরি) থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 
ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেনরা এই চিকিৎসকের কড়া সমালোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণে আর্জি জানান। নেটিজেনদের বক্তব্য়, ওই চিকিৎসক অন্যদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছেন। এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রয়োজন। 
এক ট্যুইটার ইউজার লিখেছেন, ওহো, তিনি একজন এমবিবিএস ডাক্তার, ক্লিনিকও আছে। তাঁর কাছে যে রোগীরা যান, তাঁদের জন্য সত্যিই আমি উদ্বিগ্ন। 


বহু রাজ্যেই প্রকাশ্য স্থানে মাস্ক না পরলে মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করেছে। কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশ কঠোরভাবে পালনও করছে। করোনার দাপটে যখন ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে, তখন মাস্ক না পরলে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা জরিমানা দেশের বিভিন্ন স্থানেই ধার্য হয়েছে।