সেনা প্রধান বলেছেন, ভারতীয় সেনা কোন পরিস্থিতিতে, কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে দিনরাত কাজ করে চলেছে, তা জানার কৌতূহল রয়েছে মানুষের। সেনার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন ঘুরে দেখতে পারেন তাঁরা। এবার সিয়াচেন সহ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বহু উঁচুতে থাকা কয়েকটি ছাউনি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে। এর ফলে দেশে সংহতি বাড়বে।
৩৭০ ধারা সংশোধনের পর লাদাখের অন্তর্গত সিয়াচেন হিমবাহ এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অংশ। তবে ঠিক কীভাবে সিয়াচেন যাওয়ার অনুমতিপত্র মিলবে ও সিয়াচেনের কোন কোন জায়গায় পর্যটকদের যেতে দেওয়া হবে সে ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সিয়াচেন বিশ্বের উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র, প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে হাজার হাজার ভারতীয় সেনা সারা বছর ধরে এটি পাহারা দেন। এখানে আচমকা নেমে আসা তুষার ধস শত্রুপক্ষের বুলেটের থেকেও বেশি বিপজ্জনক।
সেনা জানিয়েছে, লাদাখ ও আশপাশের এলাকায় ঘুরতে আসা ভারতীয়রা টাইগার হিলের মত কার্গিল সংঘর্ষের সময় বিখ্যাত হয়ে ওঠা এলাকাগুলি ঘুরে দেখার অনুমতি চান। তাই তাঁদের জন্য নিয়মকানুন শিথিল করার কথা ভাবা হচ্ছে। এ নিয়ে পাকিস্তান কোনও আপত্তি করতে পারে কিনা জানতে চাওয়া হলে সেনা জানিয়েছে, গোটা সিয়াচেনই ভারতের, সুতরাং এ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা ভারতীয় প্রশাসন নেবে।
২০০৭ থেকে সিয়াচেন বেস ক্যাম্প থেকে সিয়াচেন হিমবাহের উঁচু উঁচু এলাকাগুলিতে ট্রেক করার জন্য সাধারণ মানুষকে অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। বেস ক্যাম্প থেকে হিমবাহ ১১,০০০ ফুট ওপরে, আর অন্যান্য উচ্চতর এলাকা ২১,০০০ ফুটেরও বেশি উঁচু।