মুম্বই: শাহরুখ খানের (Shah Rukh Khan) ছেলে আরিয়ান খানের (Aryan Khan) বিরুদ্ধে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর (NCB) মাদক মামলায় (Drug Case) অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেলের (Prabhakar Sail) মৃত্যু হল। গতকাল পূর্ব মুম্বইয়ের (Eastern Mumbai) চেম্বুরের (Chembur) মহুল (Mahul) অঞ্চলে নিজের বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তুষার খাণ্ডারে (Lawyer Tushar Khandare)।


পুলিশ সূত্রে খবর, আজ সকাল ১১টা নাগাদ আন্ধেরির (Andheri) বাড়িতে প্রভাকরের দেহ আনা হয়। আজই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।


মাদক মামলায় অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর


ক্রুজে যখন পুলিশ ও এনসিবি আধিকারিকরা তল্লাশি চালান, তখন পাঁচজন সাক্ষী ছিলেন। তার ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ করেন প্রভাকর। তিনি দাবি করেন, মাদক মামলা মিটমাট করে নেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকার ডিলের কথা শুনেছিলেন। এরমধ্যে ১৮ কোটি টাকায় চূড়ান্ত রফা হয়। আট কোটি টাকা এনসিবি-র জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়েকে দেওয়ার কথা ছিল। পেশায় বেসরকারি গোয়েন্দা এবং মাদক মামলায় এনসিবি-র সাক্ষী কিরণ গোসাভির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করতেন প্রভাকর। এরপরেই কিরণ গোসাভি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। তখন থেকেই প্রাণহানির আশঙ্কা করছিলেন প্রভাকর।


তোলাবাজির অভিযোগ প্রভাকরের


প্রভাকর তাঁর হলফনামায় স্যাম ডি’সুজা নামে এক ব্যক্তির কথাও উল্লেখ করেন। তাঁর দাবি, স্যাম ডি’সুজার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়েছিল এনসিবি অফিসের বাইরে। ওই সয়ম তিনি গোসাভির সঙ্গে দেখা করতে পৌঁছেছিলেন। দু’জনে এনসিবি দফতরের বাইরে লোয়ার প্যারেলের কাছে বিগ বাজারের পাশে নিজের গাড়ির কাছে আসেন। স্যাম নামে ওই ব্যক্তির ফোন থেকে ২৫ কোটি টাকার ব্যপারে কথাবার্তা বলতে শুরু করেন গোসাভি। শেষপর্যন্ত ১৮ কোটি টাকায় রফা করার কথা বলেন তিনি।


আরিয়ান গ্রেফতার হওয়ার পর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক। পরে অবশ্য নবাব মালিক গ্রেফতার হন। আরিয়ান এখন জামিনে মুক্ত। তবে সাক্ষীর মৃত্যুতে এই মামলা অন্যদিকে মোড় নিতে পারে।