কলকাতা: অসমে নাগরিকপঞ্জিকরণে নাম নেই লাখো লাখো জনতার। হিন্দু, মুসলিম সহ আরও বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের নাগরিকত্ব প্রমাণ হয়নি। যার ফলস্বরূপ এদের অনেকেই আইনি পথে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। আবার এদের অনেকেরই ঠাঁই হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্পে। এদিন কলকাতায় একটি ইংরাজি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এসে নাগরিকত্ব প্রমাণ না করতে পারা মানুষদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখার কার্যত বিরোধিতা করলেন অসম সরকারেরই মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তাঁর মত, নাগরিকপঞ্জিতে বাদ পড়াদের ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা কখনই শুভ ভাবনা নয়। একইসঙ্গে এই সিদ্ধান্ত যে সরকারের নয়, গুয়াহাটি হাইকোর্টের, তাও পরিষ্কার করে দেন অসম সরকারের অর্থমন্ত্রী।
অতীতেও দলে থেকেই নাগরিকপঞ্জিকরণে আপত্তি করেছিলেন তিনি। নাগরিকপঞ্জির পর যেভাবে হিন্দুরা ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েন, তার বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি। হিমন্তের কথায়, যারা নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারেননি, তাদের অসমে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া উচিত। যতদিন পর্যন্ত, বাংলাদেশ কিংবা পাকিস্তান তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে না নিচ্ছে, ততদিন এদেশেই তাদের থাকতে দেওয়ার জন্যও সওয়াল করেন তিনি।
ওই অনু্ষ্ঠানে নাগরিকপঞ্জিকরণের সঙ্গে নাগরিক সংশোধনী বিল নিয়েও নিজের মত ব্যক্ত করেন অসমের অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সিএবি এবং এনআরসি, দুই-ই দেশের কাছে প্রতিশ্রুতি। অসম এবং পশ্চিমবঙ্গকে কোনওভাবেই অনুপ্রেবশকারীদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। আমরা চাই দেশ নিরাপদ থাকুক এবং সেটা করতে হলে কিছু মূল্য তো চোকাতেই হবে।”