নয়াদিল্লি: সম্প্রতি রাতে একা রাস্তায় বেরনো মহিলাদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার স্কিম হাতে নিয়েছে নাগপুর পুলিশ। সেইমতো সম্প্রতি শহরের পুলিশ একটি ১৯ বছরের মেয়েকে তার বাড়ির দরজায় ছেড়ে দিল। নাগপুর পুলিশের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়ায়। মেয়েটির নাম মনীশা বলে খবরে প্রকাশ। তিনি মাঝরাতে স্টেশনে আটকে পড়েছিলেন, বাড়িতেও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। ট্যুইট করে নাগপুর পুলিশ বলেছে, উনি বাবা-মাকে ফোনে ধরার চেষ্টা করলেও সংযোগ হচ্ছিল না। অগত্যা তিনি পুলিশের ১০৯১ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেন। তাঁকে পাহারা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যান পুলিশকর্মীরা। পরে নাগপুর পুলিশ মেয়েটির সঙ্গে তাঁর পরিবার ও এক পুলিশ কনস্টেবলের ছবিও পোস্ট করে।



ঘটনাচক্রে আজ ভোরে তেলঙ্গানা পুলিশ হায়দরাবাদের ২৭ বছর বয়সি মহিলা পশু চিকিত্সকের রাতের শহরে গণধর্ষণ, হত্যার পর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ায় অভিযুক্ত চারজনকে এনকাউন্টারে মেরে ফেলার পর দেশব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে। সেদিনই নাগপুর পুলিশের এহেন নাগরিকবন্ধু ইমেজ সামনে এল। ওই পশু চিকিত্সকের মর্মান্তিক পরিণতির কথা জানার পরই রাতে মহিলাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করে নাগপুর পুলিশ। তারা জানায়, রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টার মধ্যে একলা রাস্তায় আটকে পড়া মহিলাদের ‘নাইট ড্রপ’ দেবে।



লুধিয়ানা ও চন্ডীগড়ে একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে পঞ্জাব পুলিশ। আমদাবাদ পুলিশের ঘোষণা, তারা গত মার্চ নারী দিবসেই এই কর্মসূচি শুরু করেছে। গভীর রাতে কোনও মহিলা গাড়িঘোড়া না পেয়ে বিপদে পড়ে যোগাযোগ করলে পুলিশ গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে।
অনেকেই নাগপুর পুলিশের প্রশংসা করে তাঁদের শহরের পুলিশকেও এ ধরনের পরিষেবা চালুর পরামর্শ দিয়েছেন। তবে অনেকে আবার এমন কথাও বলেছেন যে, কী করে পরিস্থিতি এমন খারাপ পর্যায়ে গেল যে, মহিলাদের পুলিশ পাহারা লাগছে!