নয়াদিল্লি: সত্যিকারের রাষ্ট্রনেতা বলতে যা বোঝায়, তাই ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। পক্ষ, বিপক্ষ নির্বিশেষে সকলের প্রধানমন্ত্রী হয়ে উঠেছিলেন তিনি।  ২০০১-এর সংসদ হামলার পর তাঁকে সর্বপ্রথম ফোন করে কুশল জানতে চান সেই সময়ের বিরোধী নেত্রী সনিয়া গাঁধী। বাজপেয়ী এ জন্য সর্বসমক্ষে ধন্যবাদ জানান তাঁকে।

২০০১-এর ১৩ ডিসেম্বর ঘটে সংসদ হামলা। শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সংসদে হামলা চালায় ৫ পাকিস্তানি জঙ্গি। কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় মিনিট চল্লিশের জন্য। হামলার আগেই ভবন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ী ও বিরোধী নেত্রী সনিয়া। কিন্তু সংসদে ছিলেন তৎকালীন উপ প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা। ছিলেন প্রায় দুশজন সাংসদ।



সেই হামলায় সংসদ ভবনকে বাঁচাতে গিয়ে দিল্লি পুলিশের জওয়ান সমেত ৯ জন শহিদ হন। গোটা ভারত স্তম্ভিত হয়ে যায় গণতন্ত্রের পীঠস্থানের ওপর এমন আচম্বিত আঘাতে। হামলার খবর যতক্ষণে ছড়িয়ে পড়ে, ততক্ষণে নিজের সরকারি বাসভবনে পৌঁছে যান সনিয়া। খবর পেয়েই প্রথমে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে তাঁর কুশল জানতে চান তিনি। জবাবে বাজপেয়ী বলেন, আমার কথা ছাড়ুন, আগে বলুন, আপনি ঠিক আছেন তো।



পরে বাজপেয়ী বলেছিলেন, যে দেশে সরকার ও বিরোধী পক্ষ এভাবে বিপদের মুহূর্তে পরস্পরের পাশে এসে দাঁড়ায়, সে দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত থাকতে বাধ্য।