লন্ডন: শনিবার তাঁর হ্যাটট্রিকও দলকে বিপন্মুক্ত করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৮৬ রানে ম্যাচ হারতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। কিউয়িদের সেমিফাইনাল ভাগ্যও এখনও ঝুলে রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের তারকা পেসার ট্রেন্ট বোল্টের তাই উপলব্ধি, চলতি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে হারানো কঠিন।


বোল্ট বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিততেই আসে। বিশ্বকাপে ওদের দারুণ রেকর্ড আর সঠিক সময়েই ছন্দের শীর্ষে উঠছে। ওদের পারফরম্যান্স দারুণ ভারসাম্যযুক্ত আর আমাদের জন্য খুব শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। বিশ্বকাপে বেশ কিছু দারুণ দল খেলছে। তবে আমার মতে অস্ট্রেলিয়া এই মুহূর্তে দুর্দান্ত ফর্মে। টুর্নামেন্টের আর দুই সপ্তাহ বাকি আর ওদের হারানো কঠিন।’

শনিবার প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল ২৪৩/৯। বোল্ট ৫১ রানে চার উইকেট নিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে হ্যাটট্রিক। মহম্মদ শামির পর চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় পেসার হিসাবে হ্যাটট্রিকের কৃতিত্ব বোল্টেরই। মূলত তাঁর দাপটেই আড়াইশোর গণ্ডি পেরতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।

রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড অবশ্য ব্যাটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়। মিচেল স্টার্কের পেস-আগুনে ছারখার হয়ে যায় কিউয়ি ইনিংস। মাত্র ২৬ রানে পাঁচ উইকেট নেন স্টার্ক। নিউজিল্যান্ড ৪৩.৪ ওভারে ১৫৭ রানে অল আউট হয়ে যায়। ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালের পর ফের একবার বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত নিউজিল্যান্ড।

২০১৫ বিশ্বকাপের সেরা বোলার হয়েছিলেন স্টার্ক। নিয়েছিলেন ২২ উইকেট। এবারও দুরন্ত ছন্দে বাঁহাতি অজি পেসার। ২৪ উইকেট নিয়ে তিনিই এখন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। বোল্ট বলেছেন, ‘ওর উচ্চতা ৬ ফিট সাত ইঞ্চি। ঘণ্টায় ১৫৭ কিলোমিটার গতিতে বল করে আর দুদিকেই সুইং করায়। অসাধারণ বোলার। ছোট স্পেলে ব্যবহার করে ওকে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। টুর্নামেন্টে ওর অসাধারণ দৌড় চলছে।’

নিজের হ্যাটট্রিক নিয়ে বোল্ট বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের প্রথম ওভারে হ্যাটট্রিকটা হলে ভাল হত। তবে যে কোনও বোলারই পরপর তিন বলে তিন উইকেট পেতে চাইবে। হোম অফ ক্রিকেট লর্ডসে এই কৃতিত্বটা অর্জন করে ভীষণ খুশি। তবে ৯০ রানে ৫ উইকেট ফেলার পরেও ওদের দুশো পার করতে দেওয়াটা হতাশাজনক।’