নয়াদিল্লি: আবার পিছলো অযোধ্যা মামলার শুনানি। পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ থেকে বিচারপতি ইউ ইউ ললিত সরে দাঁড়ানোর পর মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক হয়েছে, ২৯ তারিখ চূড়ান্ত শুনানির দিন ঘোষণা হবে।


প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, অযোধ্যা মামলা স্রেফ একটি জমি সংক্রান্ত মামলা হিসেবে তারা দেখছে না, বরং এর জাতীয় গুরুত্ব রয়েছে। আজ শুনানি শুরু হলে প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, অযোধ্যা মামলার চূড়ান্ত শুনানির দিন ঘোষণা করতে চলেছেন তাঁরা। কিন্তু এক মুসলিম সংগঠনের হয়ে দাঁড়ানো আইনজীবী রাজীব ধবন বলেন, বিচারপতি ইউ ইউ ললিত ১৯৯৪-এ বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী থাকা কল্যাণ সিংহের হয়ে এক মামলায় সওয়াল করেন। এরপরেও যদি তিনি অযোধ্যা মামলায় যুক্ত থাকেন, তাঁদের কোনও আপত্তি নেই, তবে তিনিই সিদ্ধান্ত নিন। এরপর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে বিচারপতি ললিত শুনানি থেকে সরে দাঁড়ান। ঠিক হয়, নতুন বেঞ্চ গঠনের পর ২৯ তারিখ ফের এই মামলার শুনানি হবে।

আইনজীবী রাজীব ধবন আরও প্রশ্ন তোলেন, আগে আদালত এই মামলায় ৩ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ গঠনের নির্দেশ দেয়, তাহলে এখন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ কেন। জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, এই মামলার শুনানির জন্য ৫ বিচারপতির বেঞ্চ প্রয়োজনীয় বলে তাঁদের মনে হয়েছে।

এর আগে গত বছর ২৭ সেপ্টেম্বর শীর্ষ আদালতের ৩ বিচারপতির বেঞ্চ ইসলামে মসজিদ অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ কিনা সংক্রান্ত বিষয়টি ৫ বিচারপতির বেঞ্চে পাঠাতে অস্বীকার করে। ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট জানায় জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এই মামলাটি শুনানির দিন নির্ধারণ হবে। অযোধ্যা মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়লেও তা বিবেচনা করতে অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত।

আরএসএস সহ হিন্দু সংগঠনগুলি অযোধ্যা মামলায় অর্ডিন্যান্স এনে বিষয়টি নিষ্পত্তির পক্ষপাতী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, বিষয়টি যতদিন বিচারাধীন থাকবে ততদিন অর্ডিন্যান্স আনা আইনত অসম্ভব। আদালতের হাত থেকে অযোধ্যা মামলা বেরিয়ে গেলে কেন্দ্র যা করার করবে।