নয়াদিল্লি: সিবিআই ও রাফাল ইস্যুকে হাতিয়ার করে ফের একবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করলেন রাহুল গাঁধী। বৃহস্পতিবার, কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেন, রাফাল মামলা নিয়ে তদ্বির করার জন্যই সিবিআই প্রধানের পদ থেকে অলোক ভার্মাকে ‘বরখাস্ত’ করতে ‘তাড়াহুড়ো’ করছেন মোদি।
এদিন, টুইটারে মোদির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন রাহুল। প্রশ্ন তোলেন, কেন সিবিআই প্রধানকে বরখাস্ত করার তাড়া দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী? কেন সিলেকশন কমিটির সামনে সিবিআই প্রধানকে তাঁর বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না? নিজেই জবাব দেন কংগ্রেস সভাপতি। লেখেন, এর উত্তর হল রাফাল।





দফতরের ডেপুটি প্রধান রাকেশ আস্থানার সঙ্গে অন্তঃকলহের ফলে গত বছরের অক্টোবর মাসে অলোক ভার্মাকে সিবিআই অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে রাতারাতি তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় কেন্দ্র। কেড়ে নেওয়া হয় সমস্ত ক্ষমতাও।
এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন ভার্মা। মঙ্গলবার, কেন্দ্রের সেই নির্দেশ খারিজ করে ভার্মাকে সিবিআই ডিরেক্টরের পদে পুনর্বহাল করে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো, গতকাল, নিজ দফতরে যোগ দেন ভার্মা। যদিও, সর্বোচ্চ আদালত এ-ও জানিয়ে দেয়, যতক্ষণ না কেন্দ্রের সিলেকশন কমিটি তাঁর ক্ষমতা ও অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ততদিন কোনও বড় নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না তিনি।
সেই প্রেক্ষিতে অলোক ভার্মার ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে সন্ধ্যায় বৈঠকে বসে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সিলেকশন কমিটি। তবে, সেই বৈঠকে ঠিক কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা অবশ্য প্রকাশ্যে আসেনি।
প্রসঙ্গত, রাফাল-ইস্যুতে বেশ কিছুদিন ধরেই মোদি সরকারকে তুলোধনা করছে কংগ্রেস। দলের দাবি, ইউপিএ জমানায় এক-একটি বিমানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৫২৬ কোটি। সেখানে বর্তমান সরকার ১৬০০ কোটি টাকা দিয়ে একটি বিমান কিনছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, অফসেট চুক্তির মাধ্যমে অনিল অম্বানিকে ৩০ হাজার কোটি টাকা পাইয়ে দেওয়ার রাস্তা তৈরি করে দিয়েছে মোদি সরকার।
অলোক ভার্মা নিয়ে সিবিআই-এর নির্দেশের পর মোদিকে নতুন করে আক্রমণ করেন রাহুল। দাবি করেন, রাফাল-তদন্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। গোটা দেশ জানতে চাইছে। সকলেই জানেনে, তিনি মানুষের থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে তা দিয়েছেন বন্ধু অনিল অম্বানিকে।