নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপানের পর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ‘বাবা কা ধাবা’-র কর্ণধার কান্তা প্রসাদ। ৪০ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। তিনি নয়াদিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি সঙ্কটজনক অবস্থায় আছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্তা প্রসাদের সংজ্ঞা ফিরলে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তিনি কী কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন, সেটা জানার চেষ্টা করবে পুলিশ।


আজ দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘এখনও পর্যন্ত কান্তা প্রসাদের সংজ্ঞা ফেরেনি। সফদরজঙ্গ হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।’


বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১৫ নাগাদ পুলিশের কাছে খবর আসে, সংজ্ঞাহীন অবস্থায় কান্তা প্রসাদকে সফদরজঙ্গ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশকর্মীরা হাসপাতালে গিয়ে যখন কান্তা প্রসাদের পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে, তখন এই বৃদ্ধর ছেলে কর্ণ পুলিশকে জানান, তাঁর বাবা ধাবায় অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। সেই কারণে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।


পরে অবশ্য দক্ষিণ দিল্লির ডিসিপি অতুল ঠাকুর জানান, কান্তা প্রসাদের ছেলে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশকর্মীদের জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে মদ্যপান করার ঠিক পরেই ঘুমের ওষুধ খান এই বৃদ্ধ।


প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, রেস্তোরাঁ ঠিকমতো না চলায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন কান্তা প্রসাদ। তাঁর অনেক টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল।


কান্তা প্রসাদের স্ত্রী বাদামী দেবী জানিয়েছেন, বাদামী দেবী জানিয়েছেন, ‘আমাদের অনেক দেনা হয়ে গিয়েছে। যে রেস্তোরাঁ আমরা ভাড়া নিয়েছিলাম, তার জন্য প্রতি মাসে এক লক্ষ টাকা করে দিতে হচ্ছিল। কিন্তু কোনও মাসেই ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় হয়নি। তার ফলেই বিপুল আর্থিক বোঝা চেপে গিয়েছে আমাদের উপর। সেই কারণে তিনি (কান্তা প্রসাদ) উদ্বিগ্ন ছিলেন। এই উদ্বেগ থেকেই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।’ 


কিছুদিন আগে পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি নতুন রেস্তোরাঁ খোলেন কান্তা প্রসাদ। তিনজন কর্মীও নিয়োগ করেন তিনি। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই এই রেস্তোরাঁয় ভিড় কমতে শুরু করে। ফলে সেই রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কান্তা প্রসাদ। তিনি পুরনো ধাবায় ফিরে এসেছেন। আর্থিক সমস্যা এবং মানসিক টানাপোড়েনেই তিনি জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।