নয়াদিল্লি: সারা দেশজুড়ে আগামীকাল চিরাচরিত প্রথা ও উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হবে বকরি ইদ। বিশেষ এই দিনটি ইদগাহ ও প্রধান মসজিদগুলিতে ইদ-উল-অজহার বিশেষ নমাজ সকাল ছয়টা থেকে শুরু করে সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত পাঠ করা হবে। গত বছর করোনাভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে বাড়িতে বসেই নমাজ পাঠ করতে হয়েছিল। এবারও করোনার উপদ্রব রয়েছে। ইদ উল আজহা অর্থাৎ বকরি ইদ ইসলামের ধর্মের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় উৎসব। ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী দ্বাদশ মাসের ১০ তারিখে বকরি ইদ পালন করা হয়ে থাকে। বকরি ইদ রমজান মাস শেষ হওয়ার ৭০ দিন পর উদযাপন করা হয়।
বকর ইদের দিন সকালে নমাজ পাঠের সঙ্গেই ইদ পালন শুরু হয়ে যায়। ইসলামের আদর্শ অনুসারে, খুশির এই সময়ে দরিদ্রদের ভুলে না থাকার শিক্ষা দেয়।
বকর ইদ ২০২১ –এ প্রিয়জনদের পাঠান ইদ মোবারক ২০২১ মেসেজ। বিভিন্ন বার্তার মাধ্যমে প্রিয়জনদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। পবিত্র উৎসবের অন্তর্নিহিত বার্তা এভাবেই তুলে ধরে মোবারক জানানো হয়।
ইসলামীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, নবী ইব্রাহিম একবার স্বপ্ন দেখেছিলেন, ঈশ্বরকে খুশি করতে তিনি তাঁর পুত্র ইসমাইলকে বলি দিচ্ছেন। পরে, ইব্রাহিম যখন সেই স্বপ্নের কথা ছেলেকে বলেন, তখন ইসমাইল বাবাকে বলেন, ঈশ্বরের ইচ্ছাপূরণ করতে।
ইব্রাহিমের ভক্তি দেখে সন্তুষ্ট হন আল্লাহ। তিনি তাঁর দূত গেব্রিয়েল বা জিব্রিলকে পাঠান ইব্রাহিমের কাছে। গেব্রিয়েল ইব্রাহিমকে বলেন, আল্লাহ তাঁর ভক্তি দেখে খুশি হয়েছেন এবং তাঁর জন্য একটি ভেড়া পাঠিয়েছেন।
ইব্রাহিমকে গেব্রিয়েল বলেন, ছেলের জায়গায় ওই ভেড়াকে বলি দেওয়ার জন্য। সেই থেকে বকরি ইদ পালিত হয়ে আসছে। এই দিন ভেড়া ও ছাগ বলি দেওয়া হয়।
জুল হিজ্জা মাসের নবম দিন হজদিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। দশম দিন পালিত হয় ইদ-আল-আজহা বা বকরি ইদ হিসেবে। এই দিনকে অনেকে ইদ কুরবান বা কুরবান বায়ারামি হিসেবেও উল্লেখ করে থাকেন।