নয়াদিল্লি: বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের যে জঙ্গি শিবির ভারতীয় বায়ুসেনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে, তা রয়েছে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের কুনহার নদীর তীরে। সরকারি সূত্রের খবর, শিবিরটি ব্যবহার করত হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীও।
জইশ ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এই বালাকোট শিবির। হাত পাকাতে আসা জঙ্গিদের থাকার জন্য বহু কাঠামো এবং তাদের শেখানোর সুবিধা ছিল এখানে।
সূত্রের খবর, নদীর তীরে শিবিরটি হওয়ায় জঙ্গিদের জলে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। শিবিরটি থাকত কয়েকশ সন্ত্রাসবাদী।
বালাকোট শহরের ২০ কিমি দূরের এই শিবিরটিতে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিত পাক সেনা বাহিনীর প্রাক্তন আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে জঙ্গিদের মধ্যে উন্মাদনা তৈরি করতে জইশের প্রতিষ্ঠাতা ও সন্ত্রাসের মূলপাণ্ডা মাসুদ আজহার ও অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী নেতারা উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখত।
সূত্রের খবর, মাসুদের আত্মীয় ও ক্যাডাররা বালাকোটেই অত্যাধুনিক অস্ত্র ও কৌশলের প্রশিক্ষণ নিয়েছে। জইশ গড়ে ওঠার আগে শিবিরটি ব্যবহার করত হিজবুল মুজাহিদিন।
বালাকোট শিবিরে জঙ্গিদের বিভিন্ন অস্ত্র, বিস্ফোরক, রণকৌশল, নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ে হামলা, আইইডি রাখা ও তৈরি, আত্মঘাতী বিস্ফোরণের মতো 'দউরা-এ-খাস' প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। চলত মগজ ধোলাইয়ের কাজও।
মঙ্গলবার ভোরে এই শিবিরে ভারতীয় বায়ুসেনার হানায় প্রচুর সংখ্যায় জঙ্গি ও প্রশিক্ষক খতম হয়েছে।
গোয়েন্দা তথ্য ভিত্তিক অভিযানের বিস্তারিত জানাতে গিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বিদেশ সচিব বিজয় গোখেল বলেছেন, ১২ দিন আগে পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর জইশ যে ভারতে আরও আত্মঘাতী হামলা চালানোর ছক কষেছিল, তার বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য হাতে এসেছিল।
গোখেল বলেন, এটা গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযান। বালাকোটে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে ভারত আঘাত হেনেছে। এই অভিযানে জইশের প্রচুর সংখ্যায় জঙ্গি, প্রশিক্ষক, সিনিয়র কমান্ডার ও ফিদায়েঁ হামলার জন্য প্রশিক্ষিত জঙ্গি খতম হয়েছে।