কলকাতা: পাঁচ বছর আগে, ২০১৫-র ২৩ অগাস্ট শুরু পথ চলা। বন্ধন ব্যাঙ্কের পঞ্চম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে, ভবিষ্যতে গ্রাহকদের স্বার্থে তাদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় আরও জোর দেওয়ার অঙ্গীকার কর্তৃপক্ষের।


আজ, রবিবার, ২৩ অগাস্ট বন্ধন ব্যাঙ্কের পঞ্চম বর্ষপূর্তি। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা আবহে এবার জাঁকজমক করে বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান হবে না। তবে, আরও জোর দেওয়া হবে তাদের ব্যাঙ্কিং পরিষেবায়।

বন্ধন ব্যাঙ্কের এমডি তথা সিইও চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেছেন, “কোভিডের সময় নতুন লোন স্কিম এনেছি আমরা। এটা হল টপ আপ লোন। বিজনেস লোন নিয়ে থাকলেও সেটা টপ আপ স্কিমে আরও বাড়ানো যাবে। পাশাপাশি গ্রাহক পরিষেবা আরও উন্নত করতে বদ্ধপরিকর আমরা।”

২০০১ সালে এনজিও হিসেবে বন্ধনের পথ চলা শুরু। ২০০৯-এর পর হয় নন ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি। ২০১৫-র ২৩ অগাস্ট পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক ব্যাঙ্ক হিসেবে যাত্রা শুরু করে বন্ধন। দেখতে দেখতে তার পাঁচ বছর কাটতে চলল। বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, সারা দেশে বর্তমানে তাদের ৪ হাজার ৫৫৯টি ব্যাঙ্কিং আউটলেট রয়েছে। কর্মীর সংখ্যা ৪২ হাজার। আর বন্ধন ব্যাঙ্কের বর্তমান গ্রাহকের সংখ্যা ২ কোটি ৩ লক্ষ।

চন্দ্রশেখর ঘোষ বলছেন, “কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে বন্ধন। এটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। বন্ধন কোন্নগর এনজিও শুরু হয়েছিল ৩ জনকে নিয়ে। ধীরে ধীরে ফিনান্সিয়াল কোম্পানি হয়ে ব্যাঙ্ক। কম আয়ের মানুষকে নির্ভরশীল করার লক্ষ্য ছিল আমাদের। মহাজনদের চড়া সুদ থেকে বাঁচানোর লক্ষ্য ছিল মানুষকে।”

২০১৮ সালে বন্ধন ব্যাঙ্ক এর উপরে দু’টি বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বলা হয়েছিল, নতুন কোনও শাখা খুলতে হলে, তা অবশ্যই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমোদন সাপেক্ষ। ব্যাঙ্কের এমডি এবং সিইও-এর বেতন বৃদ্ধিও করা যাবে না। বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের দাবি, গত ফেব্রুয়ারিতে নতুন শাখা খোলা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে আরবিআই। আর গত ১৭ অগাস্ট এমডি ও সিইও-র বেতনবৃদ্ধি সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের।