সমিত সেনগুপ্ত, কলকাতা: ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা চালু হওয়ার সম্ভাবনা। দু’দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী উড়ান ও বাণিজ্য চালু করার জন্য গত বছর ‘এয়ার বাবল’ সংক্রান্ত চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিমান পরিষেবা ফের চালু হতে পারে।
‘এয়ার বাবল’ চুক্তির মাধ্যমে বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের তরফে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। ২০ অগাস্ট থেকে বিমান পরিষেবা চালু করার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ সরকার। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফের উড়ান চালু করা যেতে পারে।
সূত্রের খবর, সপ্তাহে সাতটি উড়ানের অনুমতি দেবে ভারত সরকার। ঢাকা থেকে কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মধ্যে চলবে বিমান। পর্যটক ভিসা থাকলেও এদেশে আসতে পারবেন বাংলাদেশের নাগরিকরা। তবে ভারতের যে কোনও বিমানবন্দরে অবতরণের পরেই বাংলাদেশ থেকে আসা সব যাত্রীকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আগের মতো নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক চালু হওয়ার আগে পর্যন্ত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এয়ার বাবল চালু করা যেতে পারে। সপ্তাহে সাতটি উড়ানের অনুমতি দেওয়া হতে পারে। যাত্রীদের কঠোরভাবে করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। বাংলাদেশ থেকে যে যাত্রীরা ভারতে আসবেন, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে নিজেদের খরচে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।’
বাংলাদেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো চিঠিতে দু’দেশের মধ্যে সপ্তাহে ২১টি করে উড়ানের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ঢাকা থেকে কলকাতা, দিল্লি ও চেন্নাইয়ের মধ্যে ৯টি উড়ানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা, চেন্নাই ও দিল্লির মধ্যে দু’টি উড়ানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যত উড়ানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে কম সংখ্যক উড়ান চালু হতে পারে বলে সূত্রের খবর।