নয়াদিল্লি: ভারতীয় অর্থনীতিতে আরও অশনি সঙ্কেত। আরও অস্বস্তি বাড়ল মোদি সরকারের।


লকডাউনের জেরে এমনিতেই কোটি কোটি ভারতীয় চাকরি হারিয়েছেন। এবার ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড বা আইএমএফ-র পূর্বাভাস, আগামী দিনে ভারতে মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশের চেয়েও কম হতে পারে।


আইএমএফ-এর অনুমান, ২০২০ সালে ভারতে মাথা পিছু জিডিপি দাঁড়াবে ১ হাজার ৮৭৭ ডলার। অর্থাৎ, ১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকার কিছু বেশি। অন্যদিকে বাংলাদেশের মাথা পিছু জিডিপি ৪ শতাংশ বেড়ে হবে ১ হাজার ৮৮৮ ডলার। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকার কিছু বেশি।


আর পড়শি দেশের কাছে ভারতের এই পিছিয়ে পড়ার আশঙ্কার জন্য, মোদি সরকারের ভ্রান্ত নীতিকেই দায়ী করেছেন রাহুল গাঁধী। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, ৬ বছরে বিজেপির বিদ্বেষমূলক জাতীয়তাবাদী সংস্কৃতির সাফল্য হল, বাংলাদেশ ভারতকে ছাপিয়ে যেতে চলেছে।





মঙ্গলবারই আইএমএফ তার পূর্বাভাসে বলেছে, চলতি বছরে ভারতের জিডিপি ১০.৩ শতাংশ সংকুচিত হবে! তবে, আগামী বছর ঘুরে দাঁড়াবে ভারতীয় অর্থনীতি। আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৮ শতাংশ হতে পারে।

কিন্তু, চলতি বছরে মাথা পিছু জিডিপি ভারতের চেয়ে বেশি হবে প্রতিবেশী বাংলাদেশের। এই পূর্বাভাস সামনে আসতেই কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার।


তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষের সুরে ট্যুইট করে বলেছেন, ভারতীয় অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। এমনকি বাংলাদেশও মাথা পিছু জিডিপিতে আমাদের ছাড়িয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের তরফে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। ভালো করে শুনুন, এটা ওদের পুনরুত্থান নয়, বরং আমাদের বিশাল পতন। এটাই নরেন্দ্র মোদিজির ৫ ট্রিলিয়নের স্বপ্ন!
ব্রিকসের দেশগুলির মধ্যে চলতি বছরে ভারতীয় অর্থনীতিই সবচেয়ে বেশি সঙ্কুচিত হতে পারে বলে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের পূর্বাভাস। তাদের মতে, উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারতীয় অর্থনীতি ১০.৩ শতাংশ হারে সঙ্কুচিত হতে পারে। ব্রাজিলের অর্থনীতি ৫.৮ শতাংশ হারে, রাশিয়ার অর্থনীতি ৪.১ শতাংশ হারে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অর্থনীতি ৮ শতাংশ হারে সঙ্কুচিত হতে পারে।


একমাত্র ব্যতিক্রম হল চিন। তাদের অর্থনীতি ১.৯ শতাংশ হারে বাড়তে পারে বলে আইএমএফ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে।