আগরতলা: সৌজন্যের বার্তা হিসেবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের জন্য ৩০০ কেজি আম উপহার পাঠালেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ আগরতলা স্থল বন্দরের মাধ্যমে হাসিনার উপহার হিসেবে বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার জোবায়েদ হোসেনের কাছে ১০ প্যাকেট হাড়িভাঙা আম পাঠানো হয়। তারপর সেই আম পৌঁছে দেওয়া হয় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।


হাসিনার এই উপহার পেয়ে খুশি বিপ্লব। তিনি ট্যুইট করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট, ‘বাংলাদেশের মাননীয়া পিএম শেখ হাসিনাজির উপহার পেয়ে আমি আপ্লুত। বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার জোবায়েদ হুসেন আজ হাসিনাজি প্রেরিত আম তুলে দেন। আমি বাংলাদেশের মাননীয়া পিএমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। মাননীয় পিএম নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী অটুট থাকুক, এই কামনাই করি।’



আগরতলায় বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত আমগুলির একটি হল এই হাড়িভাঙা আম। রংপুর জেলায় এই আমের ফলন হয়। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য উপহার হিসেবে এই আম পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’


ভারত-বাংলাদেশের সৌজন্য বিনিময় নতুন নয়। প্রতি বছরই একাধিকবার এই ধরনের সৌজন্য বিনিময় দেখা যায়। গতকালই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য উপহার হিসাবে ২,৬০০ কেজি  হাড়িভাঙ্গা আম পাঠান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।


গতকাল দুপুরে বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দুপুরে দু’দেশের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আম বিনিময় হয়। ভারতের সরকারি আধিকারিকদের হাতে উপহার তুলে দেন বাংলাদেশের আধিকারিকরা। দু’দেশের আধিকারিকদের মতে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্যই এই আম পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের তরফ থেকে। এই সৌজন্য বিনিময়ের মাধ্যমে আগামী দিনে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।


করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে ভারত। কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ ভাল। তারই প্রতিফলন হিসেবে এই সৌজন্য বিনিময়।