গতকালই প্যারিস-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ পাকিস্তানকে কাঠগড়ায় তুলে বলেছে, তারা সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে পয়সা ঢালা ঠেকাতে পারেনি, হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে, তারা আগামী দিনে বেআইনি অর্থ লেনদেন ও সন্ত্রাসে টাকাপয়সা জোগানোর মাধ্যমে সাহায্য দেওয়া রুখতে না পারলে আরও কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। পাকিস্তানকে তারা ধূসর তালিকাতেই রেখে দিয়েছে। এফএটিএফ আরও বলেছে, পাকিস্তানের সামনের কয়েক বছরে ওই তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা প্রায় নেই, বরং ২০২০-র ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আশঙ্কা প্রবল।
গত বছরের জুনে পাকিস্তানকে এফএটিএফের ধূসর তালিকায় রেখে একগুচ্ছ পদক্ষেপ সুপারিশ করে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে সেগুলি কার্যকর করতে হবে, নইলে ইরান, উত্তর কোরিয়ার মতো কালো তালিকায় জায়গা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কিন্তু পাকিস্তান ২৭-এর মধ্যে ২২টি বিষয়েই ব্যবস্থা নিতে পারেনি বলে জানিয়েছে এফএটিএফ। এখন ‘ধূসর তালিকা’য় থেকে যাওয়ার অর্থ, পাকিস্তানের পক্ষে বিশ্বব্যাঙ্ক, আইএমএফ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে, যা পক্ষান্তরে তাদের আরও বেশি আর্থিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে।
১৯৮৯ সালে বেআইনি অর্থ লেনদেন, সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে অর্থ জোগান ও আন্তর্জাতিক অর্থ ব্যবস্থার কাঠামোর সামনে অন্যান্য এই সংক্রান্ত বিপদ মোকাবিলায় তৈরি হয়েছিল এফএটিএফ।
চলতি সপ্তাহের গোড়ায় প্যারিসে অনুষ্ছিত এফএটিএফ বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও পাকিস্তান তার মাটিতে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির রাশ টেনে ধরার জন্য প্রবল চাপে রয়েছে বলে অভিমত জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমার মতে, পাকিস্তানের ওপর সবচেয়ে বড় চাপ পড়ার অন্যতম কারণ এফএটিএফের পদ্ধতি-প্রক্রিয়া। আর কেউই এফএটিএফের মতো এত চাপে ফেলতে পারেনি পাকিস্তানকে।